চিনে নিন কিডনি স্টোনের উপসর্গগুলি, সুস্থ থাকুন আগাম সতর্কতায়

কিডনিতে পাথর জমেছে বুঝবেন কী করে? জেনে নিন...

Updated By: Oct 22, 2019, 03:34 PM IST
চিনে নিন কিডনি স্টোনের উপসর্গগুলি, সুস্থ থাকুন আগাম সতর্কতায়
—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন: আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হল বৃক্ক বা কিডনি। শরীরে জমে থাকা নানা রকম বর্জ্য পদার্থ পরিশোধিত হয় কিডনির মাধ্যমে। শরীরের সার্বিক সুস্থতা বজায় রাখতে কিডনির যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

আমাদের দেশে কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে! বিশেষ করে কিডনিতে পাথর জমার সমস্যার কথা এখন প্রায়শই শোনা যায়। কিডনির সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম হল এই পাথর হওয়ার সমস্যা। সময় মতো উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিতে পারলে এই সমস্যা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে!

কিডনি স্টোনের প্রাথমিক লক্ষণগুলি নির্ভর করে পাথর কিডনির ঠিক কোথায় এবং কী ভাবে রয়েছে তার উপর। এ ক্ষেত্রে কিডনিতে জমা পাথরের আকার-আকৃতিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাথরের আকার খুব ছোট হলে সেটি কোনও ব্যথা-বেদনা ছাড়াই দীর্ঘদিন পর্যন্ত শরীরে থাকতে পারে। তবে পাথরের আকার বড় হলেই বিপদ! এ বার চিনে নেওয়া যাক কিডনিতে পাথর হওয়ার সাধারণ উপসর্গগুলি...

কিডনিতে পাথর হওয়ার উপসর্গ:

১) রক্তবর্ণের প্রসাব।

২) দিনের বেশির ভাগ সময় বমি বমি ভাব। অনেক সময় বমিও হতে পারে।

৩) কোমরের পিছন দিকে চিনচিনে ব্যথা। এই ব্যথা তীব্র হলেও সাধারণত খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। ব্যথা কোমরের পিছন দিক থেকে তলপেটেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

Kidney stones

কিডনিতে পাথর জমার কারণ:

কিডনিতে পাথর জমার বা তৈরি হওয়ার নির্দিষ্ট কোনও কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে কিছু কিছু বিষয় কিডনিতে পাথর তৈরির কারণ হিসাবে বিবেচিত হয়। আসুন সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...

১) বারবার কিডনিতে সংক্রমণ হওয়া এবং এর জন্য যথাযথ চিকিত্‍সার ব্যবস্থা না করা।

২) শরীরে জলের স্বল্পতা। কম পরিমাণে জল খাওয়া।

৩) শরীরে ক্যালসিয়ামের আধিক্য।

৪) অতিরিক্ত পরিমাণে পনির, দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস।

আরও পড়ুন: যক্ষ্মা আক্রান্তের নিরিখে বিশ্বে শীর্ষে ভারত, দাবি হু-এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে

কোমরের পিছন দিকে (কিডনির অবস্থানে) ব্যথা এবং রক্তবর্ণের প্রসাব হলে চিকিত্সকরা সাধারণত দু’টো আশঙ্কার কথা বলেন। একটি হল কিডনিতে ইনফেকশন, অন্যটি হল কিডনিতে পাথর। তাই কিডনির এক্সরে, আলট্রা সনোগ্রাম এবং প্রসাবের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়ে তবেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল আর যথাযথ ওষুধ খেলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তখন অস্ত্রপচারই একমাত্র উপায়।

সতর্কতা:

• কিডনি স্টোন-এর ঝুঁকি এড়াতে হলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে।

• কখনও প্রসাব আটকে বা চেপে রাখবেন না! প্রসাবের বেগ আসলে চেষ্টা করবেন সঙ্গে সঙ্গে প্রসাব করার।

• প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান।

• দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় না খাওয়াই ভাল।

• বারবার ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিলে দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।

.