3 Years of Covid Pandemic: তিন বছর পূর্ণ হল করোনা-বিভীষিকার! এখন কোথায় ঘাপটি মেরে বসে আছে সে?
3 Years of Covid Pandemic: দেখতে-দেখতে তিন বছর হয়ে গেল সেই বিভীষিকার। অতিমারী বিভীষিকা। কোভিড প্যান্ডেমিক। মানুষের স্মৃতি থেকে এর দগদগে ঘা যাওয়ার নয়। যায়ওনি। তাই আজও মানুষ যে কোনও ভাইরাসের কথা শুনলেই আঁতকে ওঠেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দেখতে-দেখতে তিন বছর হয়ে গেল সেই বিভীষিকার। অতিমারী বিভীষিকা। কোভিড প্যান্ডেমিক। মানুষের স্মৃতি থেকে এর দগদগে ঘা যাওয়ার নয়। যায়ওনি। তাই আজও মানুষ যে কোনও ভাইরাসের কথা শুনলেই আঁতকে ওঠেন। সম্প্রতি সেই রকমই আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে কখনও অ্যাডিনো ভাইরাস, কখনও এইচথ্রিএনটু ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। তবে, এর মধ্যেই তিন বছর পূর্ণ হল কোভিড অতিমারীর। এখন সব চেয়ে আলোচিত যে প্রশ্নটি সেটা হল-- কোভিডের ভীতি কি সবটা গিয়েছে?
আরও পড়ুন: H3N2: কী এই H3N2? জেনে নিন কীভাবে বাঁচবেন ক্রমশ ভয়ংকর হয়ে-ওঠা নতুন এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে...
বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছেন। কোভিডের পরের ধাপে মানুষ টিকা আবিষ্কার করেছে, টিকার ব্যাপক প্রয়োগও করেছে। এর ফলে পরের দিকে মৃত্যুহার কমেছে, সংক্রমণহারও নিয়ন্ত্রণে থেকেছে। কিন্তু বিশ্ব থেকে কি সম্পূর্ণ নির্মূল হয়েছে কোভিড? ভাইরাস বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, যে কোনও মুহূর্তেই নতুন কোনও একটা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আবির্ভূত হতেই পারে করোনা। তখন আবার নতুন করে শুরু হবে বাঁচার লড়াই। তবে আপাতত সেই আশঙ্কা কম। আপাতত বিশ্বের কোনও প্রান্তেই করোনার চোখ রাঙানি নেই।
আরও পড়ুন: World Kidney Day: কী ভাবে এড়াবেন কিডনির মারণ অসুখ? মাত্র এই ক'টি বিষয় মেনে চলুন...
২০২০ সালের ১১ মার্চেই ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন প্রথম করোনা-পরিস্থিতিকে 'প্যান্ডেমিক' আখ্যা দিয়েছিল। সেই হিসেবে আজ, এই ২০২৩ সালের ১১ মার্চ সেই প্যান্ডেমিকের তিন বছর পূর্ণ হল। আর কি করোনা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু আছে? রাষ্ট্রসংঘের স্বাস্থ্য বিভাগ অবশ্য পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, বিপদ যে পুরোপুরি কেটে গিয়েছে, এমনটা তারা এখনও বলতে পারছে না।
আসলে, তথ্য বলছে, এখনও বিশ্ব জুড়ে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ থেকে ১০০০ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। ফলে ভয়টা তো থেকেই যাচ্ছে। বহু মানুষ করোনার সঙ্গে সফল ভাবে লড়তে পারলেও করোনা নিয়ে আর চিন্তার কিছু নেই-- এরকমটা কিন্তু বলতে পারছে না মানুষ।
আসলে করোনা ভাইরাস সম্বন্ধে মানুষ এখনও পর্যন্ত যতটা জ্ঞান সঞ্চয় করতে পেরেছে, তাতে এমন মনে করার কোনও কারণ নেই যে, এর ফলে ভাইরাসটিকে সম্পূর্ণ জানা হয়ে গিয়েছে। করোনা ভাইরাস নিয়ত নিজেকে বদলে নিচ্ছে। হয়তো কোনও নির্দিষ্ট ভ্যারিয়্যান্টের যে রকম সংক্রমণক্ষমতা এতদিন জানা ছিল, দেখা গেল পরে সেটা বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে। কিংবা যার হয়তো শুধু সংক্রমণক্ষমতাই ছিল, মারণক্ষমতা ছিল না বা খুব কম ছিল সেটাই হয়তো মারণক্ষমতা নিয়ে ফিরে এল। ফলে সব দিক থেকে সচেতন ও সতর্ক না থেকে কোনও উপায় নেই।