এ বার নিঃশ্বাস পরীক্ষা করেই শনাক্ত করা যাবে যে কোনও ক্যান্সার!

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ক্যান্সার গবেষক আপাতত এর কার্যকারীতা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন।

Updated By: Jan 9, 2019, 05:34 PM IST
এ বার নিঃশ্বাস পরীক্ষা করেই শনাক্ত করা যাবে যে কোনও ক্যান্সার!
--প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হচ্ছে। ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। চিকিত্সকদের মতে, প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার সনাক্ত করা গেলে আক্রান্তকে চিকিত্সায় সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলাও সম্ভব। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সারের উপসর্গগুলি চিনতে পারা যায় না। ফলে চিকিত্সা শুরু করতে অনেক দেরি হয়ে যায়। তবে সম্প্রতি একদল ব্রিটিশ গবেষক এমন এক পদ্ধতির আবিষ্কার করেছেন, যার মাধ্যমে শুধুমাত্র নিঃশ্বাস পরীক্ষা করেই ক্যান্সার শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ক্যান্সার গবেষক আপাতত এর কার্যকারীতা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। এই গবেষণার কাজে তাঁরা ১,৫০০ মানুষের নিঃশ্বাসের নমুনা সংগ্রহ করা শুরু করেছেন যার মধ্যে অনেকেই ক্যান্সারে আক্রান্ত। এই পরীক্ষা পদ্ধতিতে নিঃশ্বাসের পরীক্ষার পাশাপাশি রক্ত ও মূত্রের নমুনাও পরীক্ষা করে দেখা হবে।

আরও পড়ুন: কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ ও লক্ষণগুলি সম্পর্কে জেনে নিন

ব্রিটিশ গবেষকরা জানাচ্ছেন, মানুষের শরীরের কোনও কোষে কোনও রকম রসায়নিক পরিবর্তন ঘটলে ‘ভোলাটাইল অরগ্যানিক কমপাউন্ডস’ নামে এক ধরণের অনু  নিঃশ্বাসের মাধ্যমে নিঃসৃত হয়। তবে যদি শরীরে ক্যান্সার বাসা বাঁধে, সে ক্ষেত্রে কোষের স্বাভাবিক ধরণে পরিবর্তন হয় এবং তার ফলে অন্য রকমের অনু তৈরি হয় যা গন্ধের মাধ্যমে মস্তিষ্কে ভিন্ন বার্তা পাঠায়। তাই এই পরীক্ষা পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে নিঃশ্বাসের বায়োপসি করে ক্যান্সার সনাক্ত করার উপায় খুঁজছেন ব্রিটিশ গবেষকরা।

তবে নিঃশ্বাস পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সার শনাক্ত করার পদ্ধতি চিকিত্সা বিজ্ঞানে নতুন কিছু নয়। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই ফুসফুসের ক্যান্সার সনাক্ত করার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিই কাজে লাগাচ্ছেন চিকিত্সকরা। এ বার যে কোনও ধরনের ক্যান্সার শনাক্ত করার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিটি কাজে লাগানো যায় কিনা, সেটাই পরীক্ষা করে দেখছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্সার গবেষকরা। তাঁদের বিশ্বাস, এই পরীক্ষা সফল হলে প্রাথমিক পর্যায়েই ক্যান্সার সনাক্ত করা সম্ভব হবে এবং দ্রুত রোগীর চিকিত্সা শুরু করা যাবে।

.