বদলে যাচ্ছে আবহাওয়া, হতে পারে চিকেন পক্স! সুস্থ থাকতে সতর্ক থাকুন
আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী কী সাবধানতা অবলম্বন করলে আমরা চিকেন পক্স থেকে দূরে থাকা সম্ভব...
নিজস্ব প্রতিবেদন: আগে বসন্তকালে বসন্ত রোগের ভয়ে সকলেই খুব সাবধানে থাকতেন। তবে এখন আবহাওয়া অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। বর্ষা এখন বেশ কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছে। ফলে বদলে যাওয়া আবহাওয়ায় এখন বছরের যে কোনও সময়েই চিকেন পক্সে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
চিকেন পক্স ‘ভ্যারিসেলা ভাইরাস’-এর কারণে হওয়া একটি ছোঁয়াচে রোগ। সাধারণত চিকেন পক্সে আক্রান্ত হওয়ার ১০ থেকে ২১ দিনের মধ্যে এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। চিকেন পক্স হলে সারা শরীরে ছোট ছোট লালচে ফোসকার মতো দেখা যায়। এর সঙ্গেই থাকে মাথা ব্যথা আর জ্বর। রোগীর শরীর খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। চিকেন পক্সের সব চেয়ে খারাপ দিক হল এর লালচে ফোসকার সঙ্গে মারাত্মক চুলকোনি। ত্বকে অস্বস্তির জেরে চুলকোতে গিয়ে এই লালচে ফোসকা ফেটে গেলে তা থেকে আরও বেশি মাত্রায় ফুসকুড়ির মতো উঠতে শুরু করে। তবে সতর্ক থাকলে তেমন কোনও চিকিৎসা ছাড়াই চিকেন পক্সে সেরে ওঠা সম্ভব।
তবে চিকেন পক্সে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রতিকারের চেষ্টা করার চেয়ে আগে থেকেই এই রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা জরুরি। একটু সতর্ক থাকলেই চিকেন পক্সের প্রকোপ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী কী সাবধানতা অবলম্বন করলে আমরা চিকেন পক্স থেকে দূরে থাকা সম্ভব...
খাবারের ব্যাপারে সাবধানতা:
১) চর্বি যুক্ত মাংস ও ফুল-ফ্যাট দুধ (স্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত খাবার) এড়িয়ে চলাই ভাল। এই সব খাবারে থাকা ফ্যাট ভ্যারিসেলা ভাইরাসের সংক্রমণের গতিকে বাড়িয়ে দেয়। তাই এই সময় এই ধরণের চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
আরও পড়ুন: জেনে নিন ইউরিন ইনফেকশনের প্রাথমিক লক্ষণ আর কয়েকটি অব্যর্থ ঘরোয়া প্রতিকার
২) চকোলেট, বাদাম বা বীজ জাতিয় যে কোনও খাবার এই সময় এড়িয়ে চলাই ভাল। কারণ, এই সব খাবারে ‘আরজিনিন’ নামের একটি এমাইনো অ্যাসিড রয়েছে যা চিকেন পক্সের ভ্যারিসেলা ভাইরাসের আগ্রাসন, সংক্রমণের গতি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
চিকেন পক্স হলে কী করণীয়:
১) ঠাণ্ডা জলেতে স্নান করবেন না। হালকা গরম জলতে স্নান করুন। সব চেয়ে ভাল হয় যদি নিম পাতা সেদ্ধ জলতে স্নান করতে পারেন।
২) সাবান জল দিয়ে পক্স ধুতে পারবেন। তবে ভুলেও গা ঘষতে যাবেন না।
৩) এক বালতি হালকা গরম জলেতে ১ কাপ ওটমিল পাউডার ভিজিয়ে রেখে তা দিয়ে স্নান করে নিন। এতে চুলকানি অনেকটাই কমবে। ওটমিলে বিটা গ্লুকোন ও অ্যাভেনানথ্রামাইড রয়েছে যা চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। চাইলে বেকিং সোডাও ব্যবহার করতে পারেন।
৪) স্নান শেষে তোয়ালে বেশী চেপে গা মুছতে যাবেন না। যতটা সম্ভব স্বাভাবিক ভাবেই শরীর শুকিয়ে নিন।
৫) চুলকানি কমাতে ওলিভ অয়েল বা ক্যালামাইন লোশন ব্যবহার করুন। উপকার পাবেন।