Medical Negligence: মরণাপন্ন রোগীকে দেখতে অস্বীকার, শহরের নামি হাসপাতালের ডাক্তারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ
ওই মহিলা লিখেছেন যে চার মাস আগে কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে তাঁর সন্তানের জন্ম হয়। তিনি জানিয়েছেন জন্মের পরে ওই শিশুর শ্বাসের সমস্যা হওয়ার কারণে কলকাতার এই বিখ্যাত নার্সিংহোমে নিয়ে যান তাঁরা। এই ঘটনায় তাঁর প্রশ্ন কী করে একজন ডাক্তার মাত্র ১৫-২০ দিন বয়েসের একজন শিশুর চিকিৎসা করবেন না বলে প্রেস্ক্রিপশনে লিখে দিতে পারেন, বিশেষত যখন ওই শিশু গুরুতর অসুস্থ ছিল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ। এবার মহানগরের এক নামি হাসপাতালের একজন শিশু চিকিৎসকের বিরুদ্ধে উঠেছে এই অভিযোগ। শুক্রবার অর্থাৎ ১১ অগস্ট একটি দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে এই অভিযোগ জানিয়েছেন শহরের এক মহিলা।
তিতলি চট্টোপাধ্যায় নামে ওই মহিলা লিখেছেন যে চার মাস আগে কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে তাঁর সন্তানের জন্ম হয়। তিনি জানিয়েছেন জন্মের পরে ওই শিশুর শ্বাসের সমস্যা হওয়ার কারণে কলকাতার এই বিখ্যাত নার্সিংহোমে নিয়ে যান তাঁরা।
পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন যে ও হাসপাতালে তাঁর বাচ্চার ‘ইকো’ পরীক্ষা হয় এবং তাঁকে সেখানে ভর্তি করা হয়। তিনি জানিয়েছেন এরপরে দফায় দফায় বেশ করেকবার ওই শিশুকে ভেন্টিলেশন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Bubonic Plague: করোনার থেকেও মারাত্মক এই 'ব্ল্যাক ডেথ'! এ থেকেও হতে পারে ভয়ংকর মহামারি...
তাঁর দাবি বিভিন্ন পরীক্ষার পরে তাঁকে জানানো হয় যে ওই শিশুর ল্যারিঞ্জমালাসিয়া আছে এবং এর কারণে একটি অপারেশন প্রয়োজন। তিনি জানিয়েছেন ডিসচার্জের পর পঞ্চম দিনে তাকে ফের চেকআপের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেদিন থেকেই আবার শ্বাসের সমস্যা শুরু হয় শিশুটির এবং তার নিঃশ্বাসে শব্দ শোনা যায়। তিনি জানিয়েছেন ঠিকমতো খেতে ও শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল ওই শিশুটির।
তিনি জানিয়েছেন এই সমকালে তাঁরা দ্বিতীয় মতামত নেওয়ার কথা ভাবেন এবং অপর এক ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যদিও সেই ডাক্তার শহরের বাইরে চলে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে তাঁরা পুরনো ডাক্তারের কাছে ফিরে যান।
আরও পড়ুন: New COVID Variant: গলা ও মাথা ব্যথা, সঙ্গে হাঁচি? করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত নন তো!
ওই মহিলা জানিয়েছেন, ‘আমি ফের ওই ডাক্তারের কাছে আমার ছেলেকে নিয়ে যাই কারণ তিনি ওর সমস্যার বিষয়ে জানতেন। আমরা তাকে দ্বিতীয় মত নেওয়ার কথা জানালে তিনি হঠাৎ রেগে যান। কেন এমন হলো সে সম্পর্কে আমার এখনও কোনও ধারণা নেই। তিনি নিজের প্রেসক্রিপশনে লিখেছিলেন যে, তিনি এই রোগীর আর চিকিৎসা করবেন না এবং তাঁর চেম্বার থেকে বের করে দেন। আমার বাচ্চাকে নিয়ে আমি হতবাক অবস্থায় সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমি বুঝতে পারছিলাম না একজন ডাক্তার কী ভাবে একজন রোগীর সঙ্গে এটা করতে পারে’। তিনি জানিয়েছেন যে প্রেসক্রিপশনে এই কথা লিখেছেন তিনি সেটা তাঁর কাছে রয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন যে তাঁর ছেলেকে নিয়ে এরপরে অন্য একটি নার্সিংহোমে তাঁরা যান। সেখানে ডাক্তার ওই শিশুর মেডিক্যাল হিস্ট্রি দেখে জানান যে ওই শিশুর যে রোগ রয়েছে তার জন্য অপারেশন করার কোনও জায়গা নেই। তিতলি চট্টোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন যে অপারেশন যে ডাক্তার করেছিলেন তাঁর সঙ্গে কথা বলে নতুন ডাক্তার জানতে পারেন যে অপারেশনের সময় কোনও ল্যারিঞ্জিয়াল ওয়েব পাওয়া যায়নি এবং তার গলায় একটি ক্ষত ছিল যা প্রথম দিনে তাকে ভেন্টিলেটরে দেওয়ার সময় হয়েছিল। ক্ষত সারানোর জন্য তারা অপারেশন করেছে বলেও জানানো হয় বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা।
এই ঘটনায় তাঁর প্রশ্ন কী করে একজন ডাক্তার মাত্র ১৫-২০ দিন বয়েসের একজন শিশুর চিকিৎসা করবেন না বলে প্রেস্ক্রিপশনে লিখে দিতে পারেন, বিশেষত যখন ওই শিশু গুরুতর অসুস্থ ছিল।