হাঁটুর ব্যাথায় ভুগছেন? মাথায় রাখুন এই ৪ সুরাহা...
দৈনন্দিন জীবনে ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন আনলেই হাঁটুর ব্যাথা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
নিজস্ব প্রতিবেদন : এখনকার দিনে অনেকেই হাঁটুর ব্যাথায় ভোগেন। প্রায় প্রতিটি পরিবারেই এক বা একাধিক সদস্যের এই সমস্যায় ভোগার কথা শোনা যায়। বহু ডাক্তার, ওষুধের ঝক্কি পোহাতে হয় ভুক্তোভোগীদের। চিকিত্সা করে সাময়িক মুক্তি মিললেও সম্পূর্ণ আরাম পাওয়া যায় না।
কিন্তু, একটু এদিক-ওদিক হলেই আবার মাথাচাড়া দেয় ব্যাথা। ব্যাহত হয় স্বাভাবিক জীবনযাপন। রাস্তাঘাটে বের হতে বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করতে হয় সমস্যা। দৈনন্দিন জীবনে ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন আনলেই হাঁটুর ব্যাথা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ব্যাথার সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব না হলেও, কমতে পারে ব্যাথার মাত্রা। ব্যাথা না হলেও মেনে চলতে পারেন এই নিয়মগুলি। রোগ হওয়ার আগেই সাবধান হওয়া ভাল।
হাঁটুর ব্যাথা কমাতে মেনে চলুন নিচের নিয়মগুলি :
১) ডায়েট: আপনার শরীরের যত্ন নিলে তবেই সুস্থ থাকবেন। আর শরীর সুস্থ রাখতে সঠিক রাখতে হবে ডায়েট। মনে রাখবেন, ডায়েট মানে অনাহার না। ডায়েট মানে আপনার শরীরের জন্য আদর্শ পুষ্টি। আপনার হাঁটুর ব্যাথার সঙ্গে কিন্তু সরাসরি জড়িয়ে আপনার খাদ্যাভ্যাস। খাবারের পাতে রাখুন প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি ও ফলমূল। ব্রকোলি, গাজর, বিনস্, অঙ্কুরিত ছোলা খান বেশি পরিমাণে। দুধ সহ্য হলে রোজ খেতে পারেন। ডিম খান নিয়মিত। এতে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম-এর ঘাটতি পূরণ হবে।
২) ব্যায়াম: এখনকার দিনে সবচেয়ে বড় সমস্যা পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রমের অভাব। দিনে অন্তত আধ ঘন্টা শারীরিক কসরত করার চেষ্টা করুন। কসরত শেষে অবশ্যই স্ট্রেচ করুন। এতে পেশী ও হাড় শক্তিশালী হবে। বৃদ্ধি পাবে নমনীয়তা। যোগ ব্যায়াম করতে পারলেও উপকার পাবেন। এক টানা বসে থাকবেন না। অফিসে বসে কাজ করতে হলেও মাঝে মাঝে ব্রেক নিন। হাঁটাহাঁটি করুন। কোমর, পায়ের স্ট্রেচিং করুন। হাঁটু ভাঁজ করে বেশিক্ষণ না বসাই ভাল।
৩) জুতো: জুতোর সঙ্গে কিন্তু হাঁটুর ব্যাথার প্রত্যক্ষ সম্পর্ক আছে। চেষ্টা করুন সঠিক মাপের ভাল মানের জুতো পরার। জুতো কেনার সময় নজর রাখুন নরম কুশন-যুক্ত সোল-এ র দিকে। ব্যায়াম বা প্রাতঃভ্রমণের জন্য পরুন ভাল সংস্থার রানিং শু।
৪) চিকিত্সকের পরামর্শ নিন: ব্যাথা সহ্যের মাত্রা ছাড়ানোর আগেই চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়াই ভাল। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থেকে অনেক সময় কোমর-হাঁটুর ব্যাথা হয়। তাই একজন চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী ইউরিক অ্যাসিড পরীক্ষা করিয়ে নিন। যদি দেখেন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি, সে ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলতে হবে টম্যাটো, কাবুলি ছোলা, মুসুর ডালের মতো খাবার। নিজের ইচ্ছা মতো কোনও ওষুধ বা ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেতে শুরু করবেন না। চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে তবেই ওষুধ খান।