২ পিস মাছ বা ৩ পিস মাংসের বদলে খান একবাটি মটরশুঁটি
আমিষাশী হোন বা নিরামিষাশী। শরীরের জন্য প্রোটিন মাস্ট। প্রোটিন না পেলে শরীরের দফারফা। কম দামেই সেই প্রোটিনের জোগান মেটাতে চান? ২ পিস মাছ বা ৩ পিস মাংসের বদলে খান একবাটি মটরশুঁটি। মটরশুঁটির ম্যাজিক দেখুন হাতেনাতে।
ওয়েব ডেস্ক: আমিষাশী হোন বা নিরামিষাশী। শরীরের জন্য প্রোটিন মাস্ট। প্রোটিন না পেলে শরীরের দফারফা। কম দামেই সেই প্রোটিনের জোগান মেটাতে চান? ২ পিস মাছ বা ৩ পিস মাংসের বদলে খান একবাটি মটরশুঁটি। মটরশুঁটির ম্যাজিক দেখুন হাতেনাতে।
পাতে চাই প্রোটিন। প্রচুর প্রোটিন। রোজ। মাছ, মাংসে ভরপুর প্রোটিন। কিন্তু, আপনি যদি নিরামিষাশী হন? বা রোজ মাছ, মাংসের জন্য পকেটের রেস্ত পারমিট না করে? তাহলে উপায়? একবাটি মটরশুঁটি। রোজ। দাম কম। পুষ্টি ষোলো আনা। এমনটাই বলছেন চিকিত্সকরা।
চিকিত্সকরা বলছেন, রোজ ২ পিস মাছ বা ৩ পিস মাংসের বদলে একবাটি মটরশুঁটি অনেক বেশি পুষ্টিকর।
আরও পড়ুন সহজ এই কাজটি করলেই ক্যানসার সারিয়ে উঠতে পারবেন
খাবারের স্বাদ বাড়াতে মটরশুঁটির তুলনা নেই। বিভিন্ন রান্না ও স্যালাডে মটরশুঁটির প্রচুর ব্যবহার।
মটরশুঁটিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লামেটরি, যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। বিশেষ করে পাকস্থলীর ক্যানসার প্রতিরোধ করে। শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয়। ফলে, বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটি ধীরগতির হয়। যাঁরা ডিপ্রেশনে ভোগেন, তাঁদের সেদ্ধ মটরশুঁটি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।
মটরশুঁটিতে থাকে নিয়াসিন। যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। রক্তনালির ব্লক প্রতিরোধ করে। মটরশুঁটি তাই ব্লাড প্রেশার কমায়। হৃদরোগ প্রতিরোধ করে।
এতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। যা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন ডায়াবিটিসের সম্ভাবনা দ্বিগুণ করে দিতে পারে মাখন!
ক্যালোরি কম। তাই ওজন কমাতে সাহায্য করে মটরশুঁটি।
মটরশুঁটিতে রয়েছে ভিটামিন সি। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
এতে থাকে প্রচুর আয়রন। যা অ্যানিমিয়া ও ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।
প্রোটিন, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ হওয়ায় শিশুর দেহের বৃদ্ধিতে দারুণ কাজ করে মটরশুঁটি।
অ্যালঝাইমার্স, ব্রঙ্কাইটিস প্রতিরোধেও সাহায্য করে মটরশুঁটি।
এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ। যা চোখ ভাল রাখে।
এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন কে। যা ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। ফলে হাড় ভাল থাকে।
এতে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ফলিক অ্যাসিড। যা অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।