ই-ভ্যাকসিন ভাউচার শুরু করতে চলেছে সরকার, কীভাবে এর ব্যবহার করবেন?
সরকারি হাসপাতালে এমনিতেই বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে সুতরাং বেসরকারি হাসপাতালে টিকাকরণ কেন্দ্রে এই ভাউচার কার্যকর হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান অনেকে। তাঁদের কথা ভেবেই মূলত এই কোভিড ভাউচারের চালু করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। অনেকেই আছেন যাঁরা খরচের কথা মাথায় রেখে এখনও ভ্যাকসিন নিয়ে উঠতে পারেননি। ভাউচার এর সুবিধায় তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পারবেন আপনি।
টিকা ভাউচার বিষয়টি সহজ করে বললে- আপনি বা আপনারা ভাউচার এর মাধ্যমে একটি প্রিপেড রিচার্জ করবেন। যে টাকা দিয়ে এই ভাউচার কিনে আপনি সাহায্য করবেন, সেই অর্থের বিনিময়ে বেসরকারি হাসপাতাল বা অনুমতিপ্রাপ্ত টিকাকেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারবেন আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষরা।
এই বৈদ্যুতিক ভাউচার কেনার জন্য একটি মাধ্যম তৈরি করবে এন পি সি আই। আপনি যে কোন হাসপাতালের অ্যাকাউন্টে টিকার দাম পৌঁছে দিতে পারবেন। যাঁদের টিকা নেওয়ার সামর্থ্য নেই মহামারিতে তাদের কথা এবং দেশের কথা ভেবে খুব সহজেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারবেন আপনি।
এই ভ্যাকসিন ভাউচার অনলাইনে কিনতে পারবেন। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই ভাউচারটিকে অনুমোদন দেবে। তবে কত টাকার ভাউচার আপনি কিনতে পারবেন বা কত টাকা পর্যন্ত ভাউচার কেনা যাবে, তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। এই বিষয়টি নিয়ে কাজ প্রায় শেষের পথে। জানা যাচ্ছে, সমস্তটা ঠিকঠাক থাকলে জুলাই মাসের শেষেই চালু হবে এই ভাউচার।
কোনও সংস্থা যদি তার কর্মীদের ভ্যাক্সিনেশন করাতে চায়, তাঁরা এই ভাউচার কিনবেন। সেই ভাউচার প্রতি কর্মীদের পাঠিয়ে দেবেন। কর্মীরা নির্দিষ্ট হাসপাতালে টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়ে সেই ভাউচার দেখালেই পেয়ে যাবেন টিকা। অথবা আপনি যদি আপনার পরিবারের সকলে টিকাকরণের দায়িত্ব নেন সেক্ষেত্রেও আপনি পরিবারের সদস্য সংখ্যার সমান ভাউচার কিনে রাখতে পারবেন। এছাড়াও অন্যকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, সরকারি হাসপাতালে এমনিতেই বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে সুতরাং বেসরকারি হাসপাতালে টিকাকরণ কেন্দ্রে এই ভাউচার কার্যকর হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই ভাউচারে দামের কোন ফারাক হবে না। এই পরিষেবা এখনও চালু হয়নি।