আর্থিক মন্দায় বাড়ে আত্মহত্যা, বলছে সমীক্ষা
আর্থিক মন্দার সঙ্গে কি অবসাদের কোনও সম্পর্ক রয়েছে? চাকরিক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা বা অনটন থেকেই কি জন্ম নেয় আত্মহত্যার ইচ্ছা? ব্রিটেনের মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে তেমনই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
আর্থিক মন্দার সঙ্গে কি অবসাদের কোনও সম্পর্ক রয়েছে? চাকরিক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা বা অনটন থেকেই কি জন্ম নেয় আত্মহত্যার ইচ্ছা? ব্রিটেনের মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে তেমনই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
চুয়ান্নটি দেশে গবেষণা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, ২০০৮ সালের মহামন্দা চলাকালীন ইউরোপ এবং আমেরিকায় আত্মহত্যা ৩.৩ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। ২০০৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্দা প্রভাব ফেলেছিল গোটা বিশ্বেই। আমেরিকার সাব প্রাইম সঙ্কটের ছায়া এখনও পুরোপুরি কাটেনি। সেই সময়কার তথ্য নিয়েই সমীক্ষা চালিয়েছেন ব্রিটেনের অক্সফোর্ড, ব্রিস্টল এবং চিনের হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। ওয়ার্ল্ড হেল্থ অরগানাইজেশন,সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এবং ইন্টারন্যাশানাল মনিটারি ফান্ডের ডেটাবেস ব্যবহার করেছেন তাঁরা। তার বেশিরভাগটাই সেসব রাষ্ট্রে যেখানে মন্দার ফলে চাকরি খুইয়েছেন সবচেয়ে বেশি মানুষ । ২০০৯ সালে বেকারত্বের হার বেড়েছিল ৩৭ শতাংশ, গড় জাতীয় উত্পাদন কমেছিল ৩ শতাংশ । ইউরোপ এবং আমেরিকা মিলিয়ে প্রায় ৫৪ রাষ্ট্রের তথ্য সংগ্রহ করেছেন গবেষকেরা ।
তাতে দেখা যাচ্ছে মন্দার সময় প্রায় ৫ হাজার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। যা অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি। গবেষকেদের দাবি, ইউরোপে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি দেখা গিয়েছে। আমেরিকার ক্ষেত্রে বয়সটা, ৪৫ থেকে ৬৪। এই পরিসংখ্যানের পুরোটাই পুরুষদের ধরে। মন্দার সময় মহিলাদের ক্ষেত্রে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়েনি বলেই জানিয়েছে ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল। তবে গবেষকেরা এও জানিয়েছেন, মন্দার কারণেই সব আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, এমন কোনও প্রমাণ তাদের হাতে নেই। তবে তীব্র আর্থিক সঙ্কটের কারণে বহু মানুষের মানসিক অবসাদ বেড়েছিল বলে দাবি করেছেন তারা। একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের দাবি, মন্দার সময় বহু মানুষ সাহায্যের জন্য তাদের দ্বারস্থ হয়েছেন। সেসময় প্রতি ১০ জনের মধ্য একজন অভিযোগ করতেন,নিত্যদিনের অভাব-অনটন তারা জেরবার । জীবনযুদ্ধের বাসনা হারিয়ে ফেলছেন ।