এই ৫টা ডাক্তারি পরীক্ষা করতে একদম ভুলে যাবেন না
আপনি কি নিয়মিত ডাক্তার দেখান? নাকি শরীরের ছোটখাট সমস্যায় নিজেই ডাক্তারি করেন? অনেকসময়ই আমরা শরীরের বিভিন্ন সমস্যা অল্পে অবহেলা করে থাকি। আর পরে তার ফল ভুগতে হয় আমাদের। শরীর সুস্থ রাখতে আমাদের নিয়ম করে ৫টা পরীক্ষা তাই অবশ্যই করানো উচিত।
ওয়েব ডেস্ক : আপনি কি নিয়মিত ডাক্তার দেখান? নাকি শরীরের ছোটখাট সমস্যায় নিজেই ডাক্তারি করেন? অনেকসময়ই আমরা শরীরের বিভিন্ন সমস্যা অল্পে অবহেলা করে থাকি। আর পরে তার ফল ভুগতে হয় আমাদের। শরীর সুস্থ রাখতে আমাদের নিয়ম করে ৫টা পরীক্ষা তাই অবশ্যই করানো উচিত।
১) ত্বকের পরীক্ষা- একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ আপনার সারা শরীরের ত্বক পরীক্ষা করে থাকে। স্কাল্প থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত। ত্বকের যে কোনও সমস্যার সমাধান তিনিই দিতে পারবেন। ত্বক ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়াতে কোনওরকম সমস্যা অবহেলা করবেন না। সামান্য চুলকানি, খসখস, চামড়া উঠে যাওয়া থেকে শুরু করে গুটি ওঠা, রাশ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
২) যৌনাঙ্গে সংক্রমণ- যৌনাঙ্গে সংক্রমণ একজন পুরুষের থেকে মহিলার বেশি হয়। তাই কোনওরকম সমস্যা- চুলকানি, UTI, স্রাব...গাইনোকোলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করা অবশ্যই দরকার।
৩) STD পরীক্ষা- যৌন সংক্রমণ ঘটিত রোগগুলি এড়ানোর জন্য রক্ত, মূত্র ও জেনিটাল সোয়াব টেস্ট করানো বাধ্যতামূলক। যাতে গনোরিয়া, ক্ল্যামিডিয়া ও HIV-র মত সংক্রমণ না ছড়িয়ে পড়ে।
৪) ম্যামোগ্রাম- সাম্প্রতিককালে মহিলাদের মধ্যে ভীষণভাবে বেড়ে গেছে ব্রেস্ট ক্যান্সার। আর তাই নিয়মিত ভিত্তিতে ম্যামোগ্রাম করানো রীতিমত জরুরি। ডাক্তাররা বলেন, ৪০ বছর হলেই প্রত্যেক মহিলার নিয়ম করে ম্যামোগ্রাম করানো উচিত। আর পরিবারে যদি আগে কারুর ব্রেস্ট ক্যান্সার হয়ে থাকে, তাহলে আরও আগে থেকেই চেকআপ করানো দরকার।
৫) কোলেস্টেরল- নিয়মিত কোলেস্টেরল পরীক্ষা করানো ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। রক্তে দুধরনের কোলেস্টেরল থাকে। LDL বা ব্যাড কোলেস্টেরল এবং HDL বা গুড কোলেস্টেরল। এছাড়াও থাকে ট্রাইগ্লিসারাইড নামে একধরনের ফ্যাট। লিপিড প্রোফাইল টেস্টের মাধ্যমে রক্তে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য ঠিক আছে কি না, তা বোঝা যায়। রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বিশেষ করে LDL ও ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ বেড়ে গেলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।