Dengue Viral Fever differences: সব ভাইরাল জ্বর ডেঙ্গি নয়! কীভাবে বুঝবেন পার্থক্য
কোন জ্বর আদতে ডেঙ্গির লক্ষণ আর কোনটা নয় তা বুঝবেন কীভাবে? এর জন্য নজর রাখুন কিছু উপসর্গে। সেই উপসর্গগুলি ফুটে উঠলেই সতর্ক হতে হবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বর্তমানে ডেঙ্গি ও সাধারণ ভাইরাস জ্বরের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। তবে কোন জ্বর আদতে ডেঙ্গির লক্ষণ আর কোনটা নয় তা বুঝবেন কীভাবে? এর জন্য নজর রাখুন কিছু উপসর্গে। সেই উপসর্গগুলি ফুটে উঠলেই সতর্ক হতে হবে। ডেঙ্গি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বরের পার্থক্যটা সহজে বোঝার উপায় হল প্রথম তিন দিনে এনএসওয়ান, ভাইরাল অ্যান্টিজেন ডিটেকশন করা। তিন দিন পার হয়ে গেলে ডেঙ্গি আইজিজি ও ডেঙ্গি আইজিএম টেস্ট করতে হবে।
সাধারণ ভাইরাস জ্বর বা ফ্লু ভাইরাল সংক্রমণের কারণে জ্বর হতে পারে। তবে সেই জ্বরে এক ব্যক্তি থেকে অন্যের কাছে যেতে পারে। ফ্লু সংক্রমণের ২-৪ দিন পর উপসর্গ দেখা দেয়। ভাইরাল জ্বর ৩-৫ দিন স্থায়ী হতে পারে এবং এরপর সাধারণত কোনও জটিলতা থাকে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ফ্লু এমনিতেই প্রশমিত হয়ে যায়। ফ্লুয়ের লক্ষণগুলি হল- সংক্রমিত ব্যক্তির জ্বর, হাঁচি-কাশি, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা ইত্যাদি। অন্য়দিকে, ডেঙ্গি হলে ২-৭ দিন স্থায়ী হতে পারে এবং জ্বর ভালো হওয়ার ২-৩ দিন ঝুঁকিপূর্ণ সময়।
ডেঙ্গি সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে অন্য কোনও লক্ষণ বা উপসর্গ ছাড়া শুধু জ্বর হয়, ডেঙ্গি সাধারণত সংক্রমিত মশা কামড়ানোর ৪-১০ দিন পরে শুরু হয়। ডেঙ্গিতে সাধারণত রোগীর প্রেশার কমে যায়। রক্তচাপ হঠাৎ কমে গেলেই সতর্ক হন। অতীতে ডেঙ্গি হয়ে থাকলে অর্থাৎ দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার ডেঙ্গির সংক্রমণ মারাত্মক মৃত্যুর ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং জটিলতা দেখা দেয়। ডেঙ্গিতে রক্তের প্লেটিলেটের মাত্রা মারাত্মকভাবে কমে যায় এবং রোগীকে ৭-১০ দিনের জন্য সঠিক খাবারের মাধ্যমে প্লেটিলেটের মাত্রা বজায় রাখতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে প্লেটিলেট ট্রান্সফিউশন দিতে হতে পারে।
আরও পড়ুন, Nipah Virus Outbreak In Kerala: কেরালা বাড়ছে নিপা ভাইরাসের দাপট, সাময়িক বন্ধ স্কুল-অফিস