ভারতে করোনা পরীক্ষার হার অন্যান্য দেশের তুলনায় কম! জানালেন WHO-এর প্রধান বিজ্ঞানী
WHO-এর প্রধান বিজ্ঞানীর মতে, পর্যাপ্ত সংখ্যক পরীক্ষা ছাড়া করোনার মোকাবিলার চেষ্টা অনেকটা চোখ বুজে আগুন নেভানোর চেষ্টা করার সামিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৮৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এই ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ লক্ষ ৯৭ হাজার ২৪৪ জনের। ভারতেও প্রতিদিন ৫০-৫২ হাজার মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতে ভারতে করোনা পরীক্ষার হার তুলনামূলক ভাবে কম বলে জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
একটি ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ সৌম্য স্বামীনাথন জানান, করোনার সংক্রমণ ঠেকানোর ক্ষেত্রে লকডাউন কোনও স্থায়ী সমাধান নয়। সফল ভাবে করোনা সংক্রমণ রোধ করতে হলে দ্রুত বেশি করে করোনা পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। তাঁর মতে, যত বেশি করোনা পরীক্ষা করানো হবে, তত বেশি নতুন করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া যাবে। এর ফলে দ্রুত আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে।
ডঃ স্বামীনাথন জানান, পর্যাপ্ত সংখ্যক পরীক্ষা ছাড়া করোনার মোকাবিলা করার চেষ্টা অনেকটা চোখ বুজে আগুন নেভানোর চেষ্টা করার সামিল। তিনি বলেন, “সামগ্রিক ভাবে ভারতে করোনা পরীক্ষার হার অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে জার্মানি, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া বা জাপান যথেষ্ট এগিয়ে রয়েছে।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানীর মতে, যত বেশি সংখ্যক করোনা পরীক্ষা করানো হবে, সরকারের কাছে সে দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির সম্পর্কে ধারণা তত স্পষ্ট হবে। তাই এ ক্ষেত্রে সমস্ত দেশের প্রশাসনকেই বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রতিষেধক এলেই কি মিটবে করোনা সমস্যা, কমবে ভয়াবহতা? উদ্বেগ বাড়ল WHO-এর জবাবে
মঙ্গলবারই এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে WHO-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আধানম ঘেব্রেইসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) জানান, বেশ কয়েকটি করোনা প্রতিষেধক এখন ক্লিনিকাল ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আশা করা যায়, বেশ কয়েকটি কার্যকর প্রতিষেধক হয়তো পাওয়াও যাবে যেগুলি এই ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে। তবে, এই মুহূর্তে করোনার কোনও ‘জাদুকরী সমাধান’ নেই। কোনও প্রতিষেধক দিয়েই করোনাকে সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব নয়।