৩০ জানুয়ারি নয়, ভারতে প্রথম করোনা ঢুকেছিল নভেম্বরেই! চাঞ্চল্যকর দাবি গবেষকদের
সম্প্রতি কয়েকটি ভাইরাল স্ট্রেন বিশ্লেষণ করে এমনটাই মত গবেষকদের!
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতে ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে করোনা পরিস্থতি। প্রতিদিনিই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৩০৪ জন, যা এখনও পর্যন্ত একদিনের সংক্রমণের সংখ্যার নিরিখে সর্বোচ্চ। এই পরিস্থিতিতে নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনলেন একদল গবেষক। গবেষকদের দাবি, ৩০ জানুয়ারি নয়, ভারতে প্রথম করোনা ঢুকেছিল নভেম্বরেই!
সরকারি হিসাবে ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্তের সন্ধান মেলে ৩০ জানুয়ারি। ওই দিনই নথিভুক্ত করা হয় দেশের প্রথম করোনা কেস। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকটি ভাইরাল স্ট্রেন বিশ্লেষণ করে হায়দরাবাদের সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলুকিউলার বায়োলজি (Centre for Cellular and Molecular Biology বা CCMB)-এর গবেষকদের অনুমান, ৩০ জানুয়ারি নয়, এ দেশে কনোরা ঢুকেছিল তার আগেই নভেম্বর মাস নাগাদ। ওই ভাইরাল স্ট্রেন বিশ্লেষণ করে গবেষকরা জেনেছেন, সম্ভবত ২৬ নভেম্বর নাগাদ তেলাঙ্গনাতে প্রথম সংক্রমিত হয়েছিল করোনাভাইরাস। তার পর সেখান থেকেই ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে অন্যত্র। ওই সময়েই ভারতে করোনার ‘মিডিয়ান’ পর্ব শুরু হয়েছিল বলে অনুমান CCMB-এর গবেষকদের।
৩০ জানুয়ারি কেরলে চিন ফেরত এক ছাত্রীর শরীরে প্রথম করোনার উপস্থিতির প্রমাণ মেলে। এর আগে দেশে কোনও করোনা-পরীক্ষা করা হয়নি। তাই নভেম্বর থেকে দেশে করোনা সংক্রমণের বিষয়টিও সামনে আসেনি বলে মত গবেষকদের। বর্তমানে করোনা রোগীদের শরীর থেকে পাওয়া ভাইরাস স্ট্রেনের নমুনা পরীক্ষার পর এমনটাই বিশ্বাস গবেষকদের।
আরও পড়ুন: চিনা ও ইউরোপীয় প্রজাতির করোনাভাইরাসই সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়েছে ভারতে!
একদিকে প্রতিদিনই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনই দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হার সামান্য হলেও কমেছে। বুধবার পর্যন্ত পাওয়া হিসাব অনুযায়ী, দেশের করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হার ছিল ৪৮.৩১ শতাংশ যা আজ কমে হয়েছে ৪৭.৯৯ শতাংশ। ফলে সব মিলিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO-এর আশঙ্কা সত্যি করে করোনার ‘সেকেন্ড ওয়েভ’-এর দিকেই এগোচ্ছে ভারতের করোনা পরিস্থিতি।