জলের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনাভাইরাস! ১৩ বছর আগের ঘটনা মনে করে আশঙ্কায় বিজ্ঞানীরা
২০০৩ সালে হংকংয়ে সার্স (SARS) ভাইরাসের কণা জলের মাধ্যমেই সংক্রমিত হয়েছিল।
![](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/styles/zm_98x58/public/2019/01/24/171263-sudip2.jpg?itok=f8x2KbO2)
![জলের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনাভাইরাস! ১৩ বছর আগের ঘটনা মনে করে আশঙ্কায় বিজ্ঞানীরা জলের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনাভাইরাস! ১৩ বছর আগের ঘটনা মনে করে আশঙ্কায় বিজ্ঞানীরা](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/04/20/245121-covid-19.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: সারা বিশ্বে আতঙ্কের অপর নাম নোভেল করোনাভাইরাস। অজানা শত্রুর সঙ্গে লড়াইয়ে বার বারই ধাক্বা খেতে হয়েছে গোটা বিশ্বকে। বায়ূর মাধ্যমেও ভেসে বেড়াতে পারে Covid-19। কয়েক দিন আগে এমনই আশঙ্কার খবর মিলেছিল। তবে এ বার আশঙ্কা আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে গবেষকদের দাবি, জলের মাধ্যমেও নাকি ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস!
সম্প্রতি পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ক একটি পত্রিকার প্রতিবেদনে এমনই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হাইঝোউ লি ও ইতালির সালের্নো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিনসেঞ্জো নাদিওর মতে, জলচক্র এবং বর্জ্যপদার্থ যুক্ত জলের পরিশোধনের সময় আদৌ জলকে করোনামুক্ত করা যায় কি-না সে সম্পর্কে সুনিশ্চিত হতে আরও পরীক্ষার প্রয়োজন।
এর আগেও সার্স (SARS) ভাইরাস খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত হয়ে বায়ূ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। গবেষকরা এ-ও জানিয়েছেন, ২০০৩ সালে জলের নল থেকে ভাইরাসের খণ্ডযুক্ত জলকণার মাধ্যমে হংকংয়ে ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছিল। ২০০৩ সালেই সার্স ভাইরাসের উপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, জীবানুমক্তকরণের অভাবে ভাইরাসগুলি একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁচে থাকে। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই বৃদ্ধি পায়!
আরও পড়ুন: চিকিৎসায় সেরে উঠলেই শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয় না, সতর্ক করল WHO!
যদিও এখনও পর্যন্ত জলের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। তা-ও বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা জলের মাধ্যমেও করোনা সংক্রমণ হতে পারে কি-না তা খতিয়ে দেখা জরুরি। ওই প্রতিবেদনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, উন্নত দেশগুলি জলকে ভাইরাস মুক্ত করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। উন্নয়শীল দেশগুলিরও সেই পথেই হাঁটা উচিত।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে রসায়নবিদ ও অনুজীববিদদের যৌথ ভাবে গবেষণা করা উচিত। কারণ, যদি জলের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে বিপদে পড়বেন গ্রামে ও শরহতলিতে বসবাসকারী অসংখ্য দরিদ্র মানুষ।