প্যাকেটজাত ‘ফ্রোজেন ফুড’-এ প্রায় ৩ মাস টিকে থাকতে পারে করোনা! চাঞ্চল্যকর দাবি বিজ্ঞানীদের

বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, করোনা সংক্রমিত খাবারের সংস্পর্শে এলে কোনও না কোনও ভাবে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়!

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: Jun 25, 2020, 06:08 PM IST
প্যাকেটজাত ‘ফ্রোজেন ফুড’-এ প্রায় ৩ মাস টিকে থাকতে পারে করোনা! চাঞ্চল্যকর দাবি বিজ্ঞানীদের
—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্তমানে চূড়ান্ত কর্মব্যস্ততায় ‘রেডি টু কুক’ বা ‘রেডি টু ফ্রাই’ জাতিয় প্যাকেটজাত ‘ফ্রোজেন ফুড’-এর চাহিদা রয়েছে সর্বত্রই। ফ্রিজ থেকে প্যাকেট বের করে ঝটপট পকোড়া ভেজে ফেলা বা ‘ফ্রোজেন’ মাছ বা মাংস চটজলদি রেঁধে ফেলার সুবিধার কারণেই দ্রুত চাহিদা বেড়েছে এই সব প্যাকেটজাত ‘ফ্রোজেন ফুড’-এর। কিন্তু এই সব ‘ফ্রোজেন ফুড’-এই করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি সময় টিকে থাকতে পারে বলে দাবি করেছেন একদল বিজ্ঞানী।

সম্প্রতি চিনের ‘সেন্টার ফর ডিজিজেস প্রিভেন্সন অ্যান্ড কন্ট্রোল’ (Center for Diseases Prevention and Control)-এর প্রধান মহামারী বিশেষজ্ঞ য়ু জুনইউ (Wu Zunyou) জানান, প্যাকেটজাত ‘ফ্রোজেন ফুড’-এ করোনাভাইরাস প্রায় ৩ মাস পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে!

এর অনেক আগেই ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছিল, ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে করোনাভাইরাস প্রায় ২ বছর পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। একাধিক পরীক্ষায় উঠে আসা তথ্য অনুয়ায়ী, ফ্রিজের তাপমাত্রায় (৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস) করোনার প্রায় সমগোত্রীয় MERS-CoV  ভাইরাস প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। শুধু তাই নয়, রান্নার ক্ষেত্রে বেশির ভাগের গড় তাপমাত্রা থাকে ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিজ্ঞানীদের দাবি, ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও বেঁচে থাকতে পারে Covid-19! তাই করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে প্যাকেটজাত ‘ফ্রোজেন ফুড’ এড়িয়ে চলার পরামর্শই দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

আরও পড়ুন: কার্যকারিতা পরখ করতে শেষ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হল অক্সফোর্ডের তৈরি প্রতিষেধকের

তবে এ বিষয়ে হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জিন ডং-ইউন জানান, করোনা সংক্রমিত খাবার খেলেই যে ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন বা কেউ আক্রান্ত হয়েছেন, এমন সরাসরি সংযোগের প্রমাণ এখনও হাতে পাননি বিজ্ঞানীরা। ইজরায়েলের বিশিষ্ট ক্রান্তীয় রোগ বিশেষজ্ঞ এয়াল লেশেম (Eyal Leshem) জানান, করোনায় আক্রান্ত কোনও ব্যক্তি কাঁচা বা প্রক্রিয়াজাত খাবারের সংস্পর্শে এলে তবেই এই ভাইরাস ওই সব খাবারে সংক্রমিত হতে পারে। করোনা সংক্রমিত খাবারের সংস্পর্শে এলে কোনও না কোনও ভাবে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।

.