India New Covid Cases: গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০০-র বেশি সংক্রমণ! ফের কি ভারতে থাবা বসাচ্ছে করোনা?
India New Covid Cases: এটা মার্চের মাঝামাঝি সময়। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে দেশে মোট ২১৪৯টি অ্যাকিটভ কেস দেখা গিয়েছিল। অ্যাকটিভ কেস দাঁড়াল ৩৬১৮টি। শনিবারই কেন্দ্র করোনা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের কি বাড়ছে করোনা সংক্রমণ? প্রায় ১২০ দিন পরে হঠাৎই করোনা সংক্রমণে বড় লাফ দেখা গেল গত ২৪ ঘণ্টায়। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ৫২৪টি নতুন সংক্রমণ ধরা পড়ল। গত ১১৩ দিনে এই প্রথম এরকম বড় লাফ। এই নিয়ে অ্যাকটিভ কেস দাঁড়াল ৩৬১৮টি। শনিবারই অবশ্য কেন্দ্র করোনা পজিটিভিটি কেস নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: H3N2: কী এই H3N2? জেনে নিন কীভাবে বাঁচবেন ক্রমশ ভয়ংকর হয়ে-ওঠা নতুন এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে...
এটা মার্চের মাঝামাঝি সময়। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে দেশে মোট ২১৪৯টি অ্যাকিটভ কেস দেখা গিয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে ডেইলি পজিটিভিটি রেট তখন ছিল ০.১৪ শতাংশ। মোট সংক্রমণের অ্যাকটিভ কেস ০.০১ শতাংশ। এই প্রেক্ষিতে নতুন করে ৯১টি সংক্রমণের কেস তখন জানা গিয়েছিল। যা নিয়ে তখনই নড়েচড়ে বসেছিল দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
আরও পড়ুন: 3 Years of Covid Pandemic: তিন বছর পূর্ণ হল করোনা-বিভীষিকার! এখন কোথায় ঘাপটি মেরে বসে আছে সে?
চিনের অবস্থা প্রকাশ্যে আসার পরই করোনা সংক্রমণ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। জানুয়ারির শেষে একদিনে ৮৯টি করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। যা ২৭ মার্চ, ২০২০ থেকে তখনও পর্যন্ত সর্বনিম্ন বলেই মনে করা হচ্ছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছিল, নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ০.০১ শতাংশ এবং দেশে কোভিড-১৯ সুস্থতার হার বেড়ে ৯৮.৮০ শতাংশ হয়েছিল। দৈনিক আক্রান্তের হার ০.০৫ শতাংশ, সাপ্তাহিক পজেটিভের হার ০.০৯ শতাংশ। সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৪,৪১,৪৮,৪৭২ এবং মৃত্যু হার ১.১৯ শতাংশ ছিল। মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, দেশে এখনও পর্যন্ত ২২০ কোটি ১৭ লক্ষ ডোজ কোভিড-১৯ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য তখনই সংস্থা জানিয়েছিল, চিনে যে করোনা-ঢেউ আছড়ে পড়েছে, তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিতে বিশেষ প্রভাব ফেলবে না। এই স্বস্তির বার্তা দিলেও পাশাপাশি 'হু' এ-ও জানিয়েছিল, নতুন করে করোনার বাড়বাড়ন্তের বিষয়টি নিয়ে একেবারে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকারও কোনও যুক্তিও নেই! ফ্রান্স, ইতালি, ব্রিটেন, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস-সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহু দেশে চিন থেকে আসা যাত্রীদের উপর কড়া কোভিডবিধি জারি করা হয়েছিল।