ভয়ঙ্কর সংক্রমক হলেও প্রাণঘাতী নয় ওমিক্রন! বিশেষজ্ঞদের বার্তায় আশ্বাস

স্বস্তির বিষয় একটাই যে ডেল্টা কিংবা ডেল্টা প্লাসের মত এটি প্রাণঘাতী নয়। 

Updated By: Jan 11, 2022, 11:23 AM IST
ভয়ঙ্কর সংক্রমক হলেও প্রাণঘাতী নয় ওমিক্রন! বিশেষজ্ঞদের বার্তায় আশ্বাস
প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা ঢেউয়ে (Coronavirus) ২০২২ এও বিপর্যস্ত বিশ্ব। তবে এর নেপথ্যে ডেল্টা (Delta) নয়, দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনার আরেকটি রূপ ওমিক্রনকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৪১ হাজারের গণ্ডি পেরিয়েছে। ওমিক্রনের (Omicron) সংক্রমক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আগেই সতর্কতা জারি হয়েছিল বিশ্বজুড়ে। তবে এও বলা হয়েছিল যে এর উপসর্গ মৃদু, অনেকক্ষেত্রে উপসর্গহীনও। স্বস্তির বিষয় একটাই যে ডেল্টা কিংবা ডেল্টা প্লাসের (Delta Plus) মত এটি প্রাণঘাতী নয়। 

বিশ্বের প্রায় প্রতিটি মহাদেশেই দাপট বৃদ্ধি করেছে ওমিক্রন (Omicron)। করোনার প্রজাতি বলে এটি আক্রান্ত হলে উপসর্গ থাকছে একই কিন্তু জিনোম সিকোয়েন্সিং না করলে বোঝা সম্ভব নয় যে আক্রান্ত ব্যক্তি ওমিক্রন না ডেল্টা প্রজাতিতে আক্রান্ত। তবে ডেল্টার থেকেও অনেক দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো উপসর্গ থাকছে। তাই পরীক্ষা না করালে বুঝতে পারা সম্ভব নয়। 

আরও পড়ুন, Covid Guidelines: কখন করাবেন করোনা টেস্ট; কাদের প্রয়োজন নেই, নয়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র

তবে পরিসংখ্যান বলছে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেলেও এই ভাইরাস প্রাণঘাতী নয়। কোমর্বিডিটি যাদের আছে তাদের ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ জরুরি হলেও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ডেল্টা ঢেউয়ের সময়ের থেকে অনেক কম৷ এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে হাতে গোনা। বেশিরভাগেরই অন্যান্য রোগ ছিল। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় এই ভাইরাস ধরা পড়ে। এই প্রজাতির স্পাইক প্রোটিনে ৩২ মিউটেশন হওয়ায় এই মারাত্মক সংক্রামক হয়ে উঠেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকা যেখানে এই ভাইরাস প্রথম দেখা যায় সেখানেও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা অনেক কম। সে দেশের বিজ্ঞানীরাই জানান যে ওমিক্রন আক্রান্ত হলে প্যানিক করার কিছু নেই। ডেল্টার মতো ভয়ানক নয় বরং উপসর্গ মৃদু। ডেল্টায় প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়ে ৬৮ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। সেখানে ওমিক্রন পরিসংখ্যান ৪১.৩ শতাংশ। ডেল্টায় অক্সিজেন চাহিদা ছিল ৭৪ শতাংশ। ভারতের মতো দেশে গত বছর অক্সিজেন চাহিদা মেটাতে নাভিশ্বাস উঠেছিল প্রশাসনের। ওমিক্রনে সেখানে চাহিদা মাত্র ১৭.৬ শতাংশ।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতো টিকাকরণের ফলে মানবদেহে সিন্থেটিক ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে। ফলে কিছুটা হলেও রুখতে পারা গিয়েছে প্রাণঘাতী ঘটনাকে। যদিও ডাবল ডোজ নেওয়ার পরও আক্রান্ত হচ্ছেন প্রায় অনেকেই। কিন্তু মারণ ক্ষমতাকে কিছুটা হলেও প্রতিরোধ করেছে ভ্যাকসিন, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.