দাবদাহের মাঝে দেশে অব্যাহত করোনা দাপট, একদিনে ১০ হাজার পেরোল আক্রান্তের সংখ্যা
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতে নতুন করে ১০,৫৪২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩,৫৬২ জন। সকাল ৮টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫,৩১,১৯০। এর মধ্যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪.৪৭ কোটি (৪,৪৮,৪৫,৪০১)। দৈনিক আক্রান্তের হার ৪.৩৯ শতাংশ এবং সাপ্তাহিক আক্রান্তের হার ৫.১ শতাংশ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একে প্রবল গরমে হাঁসফাঁস প্রাণ। তারওপর চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস। ভারতে ক্রমশ উদ্বেগজনক হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। একাধিক রাজ্যে এই ঘটনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এতে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতে নতুন করে ১০,৫৪২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩,৫৬২ জন। সকাল ৮টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫,৩১,১৯০। এর মধ্যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেরালায় সর্বাধিক ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর হার রেকর্ড করা হয়েছে ১.১৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন, Pandemic in Next Decade: অচিরেই ছড়িয়ে পড়বে করোনার থেকেও ভয়ংকর অতিমারি! দৈনিক ১৫ হাজার মৃত্যু?
রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪.৪৭ কোটি (৪,৪৮,৪৫,৪০১)। দৈনিক আক্রান্তের হার ৪.৩৯ শতাংশ এবং সাপ্তাহিক আক্রান্তের হার ৫.১ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের ০.১৪ শতাংশ সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৯৮.৬৭ শতাংশ। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪,৪২৬৪৯জন। মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, দেশ জুড়ে টিকাকরণ অভিযানের আওতায় এখনও পর্যন্ত ২২০.৬৬ কোটি ডোজ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে দেশে করোনা বাড়তেই আগেভাগেই সতর্ক নবান্ন। মঙ্গলবার এনিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। সেখানে স্বাস্থ্য ভবন জানিয়ে দিয়েছে, করোনা পশ্চিমবঙ্গেও ছড়াচ্ছে। কিন্তু, তা আগেভাগে চিহ্নিত করা মুশকিল হয়ে পড়ছে। কারণ, মৃদু উপসর্গ। আপাতত এরাজ্যে সংক্রমণের সংখ্যাটা সামান্য হলেও স্বাস্থকর্তাদের আশঙ্কা তা বিপজ্জনক হতে পারে।
মঙ্গলবারের নির্দেশিকায় পুরনো নিয়ম আবারও মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলার কথা বলেছে স্বাস্থ্য ভবন। মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের উপর আবার জোর দেওয়া হয়েছে। এমনকী, কারোর যদি করোনা ধরা পড়ে, তবে তাঁকে এক সপ্তাহের জন্য বাড়িতে আইসোলেশন থাকার পরামর্শও দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। অন্যদিকে, ভারতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনাভাইরাস মামলার বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেছে।