ই-সিগারেটে ব্যবহৃত রাসয়ানিক সাধারণ সিগারেটের মতই ক্ষতিকারক, দাবি গবেষকদের

আপনি কি ধূমপায়ী? চেষ্টা করেও ছাড়তে পারছেন না মারাত্মক এই নেশা? বিকল্প হিসেবে সুরক্ষিত ভেবে বেছে নিয়েছেন ই-সিগারেটকে? তবে এবার সাবধান হন। নতুন এক গবেষণায় প্রকাশ ফ্লেভারিং ই-সিগারেটে ব্যবহৃত রাসয়ানিক সাধারণ সিগারেটের সমান ক্ষতিকর। এমনকি টানা বহুদিন ব্যবহার করলে এর ক্ষতির মাত্রা ছাপিয়ে যেতে পারে সাধারণ সিগারেটকেও।

Updated By: May 19, 2015, 03:47 PM IST
ই-সিগারেটে ব্যবহৃত রাসয়ানিক সাধারণ সিগারেটের মতই ক্ষতিকারক, দাবি গবেষকদের

ওয়েব ডেস্ক: আপনি কি ধূমপায়ী? চেষ্টা করেও ছাড়তে পারছেন না মারাত্মক এই নেশা? বিকল্প হিসেবে সুরক্ষিত ভেবে বেছে নিয়েছেন ই-সিগারেটকে? তবে এবার সাবধান হন। নতুন এক গবেষণায় প্রকাশ ফ্লেভারিং ই-সিগারেটে ব্যবহৃত রাসয়ানিক সাধারণ সিগারেটের সমান ক্ষতিকর। এমনকি টানা বহুদিন ব্যবহার করলে এর ক্ষতির মাত্রা ছাপিয়ে যেতে পারে সাধারণ সিগারেটকেও।

ই-সিগারেটগুলির তৈরির সময় যে রাসয়ানিক পদার্থ ব্যবহার হয় তার কোনও নির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণ মাত্রা নেই।

আমেরিকান থোরাসিক সোসাইটির নয়া গবেষণা অনুযায়ী ই-সিগারেটের জ্বলন যন্ত্রপাতি, ডেলিভারি সিস্টেম এবং নিকোটিন সল্যুউশনের কম্পোসিশনের ফলে যে ধোঁয়া তৈরি হয় তা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর।

সাধারণ সিগারেটের মাধ্যমে তামাক সেবনের ক্ষতিকর দিকগুলি নিয়ে যে পর্যায়ে গবেষণা হয়েছে সেই ধরণের কোনও গবেষণাই ই-সিগারেট নিয়ে হয়নি। গবেষকদের দাবি ই-সিগারেটের ক্ষতিকর দিক গুলি  নিয়ে সম ধরণের গবেষণা প্রয়োজনীয়।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ই-সিগারেট নিঃসৃত ধোঁয়া বিবিধ শারীরিক অসুস্থতার কারণ।  ই-সিগারেটের কনডেনসেট TA4H-এর উৎসেচক মূলক কাজে বাধা দেয়। এই উৎসেচক ফুসফুসের ইনফ্লামেশনে বাধা দেয়। সাধারণ সিগারেটেও কিন্তু একই ফল পাওয়া যায়।

২০১৫ সালের আমেরিকান থোরাসিক সোসাইটির ইন্টারন্যাশনল কনফারেন্সে এই গবেষণা পত্রটি পেশ করা হয়েছে।

 

.