এই ৪ কৌশলে সুস্থ রাখুন লিভার, সুস্থ থাকবেন আপনিও
জেনে নেওয়া যাক অব্যর্থ কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা যা যকৃৎ বা লিভার সুস্থ রাখতে অত্যন্ত সহায়ক...
নিজস্ব প্রতিবেদন: যকৃৎ বা লিভার আমাদের শরীরে যত ক্ষতিকারক টক্সিন জমে, তা ছেঁকে শরীর থেকে বের করে দেয়। এই লিভার যদি তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায় তাহলে শরীরে জমে যাওয়া টক্সিন শরীরেই থেকে যাবে। ফলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ একে একে বিকল হতে শুরু করবে। তাই লিভার সুস্থ রাখা অত্যন্ত জরুরী। আর লিভারের সুস্থতার জন্য পেট পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। আসুন এ বার জেনে নেওয়া যাক অব্যর্থ কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা যা যকৃৎ বা লিভার সুস্থ রাখতে অত্যন্ত সহায়ক...
১) যকৃৎ বা লিভার সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত জল পান করুন। দিনে অন্তত ৭-৮ গ্লাস (২.৫ লিটার থেকে ৩ লিটার) জল পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন। আমাদের শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশই হল জল। এই জলই শরীরের টক্সিন লিভারের মাধ্যমে ছেঁকে বের করতে সাহায্য করে। শরীরে যখনই জলের অভাব হবে, তখনই লিভারে ও শরীরে টক্সিন জমতে থাকে যা শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গেরও মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই লিভার সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত জল পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
২) বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্যান্য খাবারের তুলনায় উষ্ণ জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারলে তা যকৃৎ বা লিভারে অনেক বেশি উত্সেচক (এনজাইম) উৎপাদনে সহায়তা করে। এ ছাড়াও ভিটামিন সি ‘গ্লুটেথিয়ন’ নামের যে এনজাইম উৎপন্ন করে, তা লিভারের ক্ষতিকারক টক্সিন দূর করে লিভার সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। তাই অন্যান্য পানীয়র চেয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস উষ্ণ জলের সঙ্গে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারলে লিভার সুস্থ থাকবে, একই সঙ্গে বাড়বে তার কর্মক্ষমতাও।
আরও পড়ুন: এই ৭ রকম ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব!
৩) রসুনে রয়েছে সালফারের উপাদান যা লিভারের এনজাইমের কার্যকারীতা বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন ও সেলেনিয়াম যা লিভার পরিশুদ্ধ করার পাশাপাশি তার সুস্থতা নিশ্চিত করে। তাই প্রতিদিন অন্তত এক কোয়া রসুন খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খেতে পারলেও ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে।
৪) যকৃৎ বা লিভার সুস্থ রাখতে গ্রিন টি খেতে পারেন। গ্রিন টি-এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের ফ্রি রেডিকেল টক্সিসিটি দূর করার পাশাপাশি আমাদের লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১ থেকে ২ কাপ গ্রিন টি পান করার ফলে লিভারে জমে থাকা টক্সিন দূর হয়ে যায় এবং গোটা শরীরের সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি সঠিক ভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়।