খাবারের প্রতি এমন কিছু ভুল ধারনা, যার শিকার হই আমরা
গুগলে যে কথাটি সব থেকে বেশি পরিমানে সার্চ করা হয় সেটা হল 'কীভাবে রোগা হওয়া যায়'। কিন্তু এই ব্যাপারে ভিন্ন মত দেখে অনেকের মধ্যেই তৈরি হয় কিছু ভ্রান্ত ধারনার। যার ফলে তারা বুঝে উঠতেই পারে না কোনটা খাওয়া উচিত আর কোনটা নয়।
ওয়েব ডেস্ক: গুগলে যে কথাটি সব থেকে বেশি পরিমানে সার্চ করা হয় সেটা হল 'কীভাবে রোগা হওয়া যায়'। কিন্তু এই ব্যাপারে ভিন্ন মত দেখে অনেকের মধ্যেই তৈরি হয় কিছু ভ্রান্ত ধারনার। যার ফলে তারা বুঝে উঠতেই পারে না কোনটা খাওয়া উচিত আর কোনটা নয়।
দেখে নিন এমন কিছু ভ্রান্ত ধারনার, যার শিকার আমরা সব সময়ই হয়ে থাকি...
হার্টের সমস্যার জন্য দায়ী নয় নুন
কেবলমাত্র নুন খেলেই যে হার্ট অ্যাটাক অথবা স্ট্রোক হতে পারে সেটা কখনওই বলা যায় না। নুনকেই শুধুমাত্র দায়ী করা হয় হার্টের সমস্যার জন্য। কিন্তু এই কথা কখনওই ঠিক নয়। অন্যান্য অনেক খাবার আছে যা হার্ট অ্যাটাকের জন্য দায়ী। কিন্তু নুনের কথা জেনে অনেকেই নুন খাওয়া ছেড়ে দেন, যার ফলে তাঁদের ব্লাড প্রেসারও যায় কমে।
ডিম খেলে বাড়বে না কোলেস্টেরল
অনেক সময় বলা হয় ডিম খেলে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই যাদের কোলেস্টেরল থাকে তাদের বলা হয় ডিম না খেতে। কিন্তু সব থেকে বড় কথা হল ডিমে প্রোটিন খুব কম পরিমাণে থাকে এবং ওমেগা-৩ অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। যা শরীরের পক্ষে খুবই ভালো।
খিদে না পেলেও খাওয়া উচিত
অনেকেই বলে থাকেন খিদে পায়নি তাই খাইনি। এটা খুবই বাজে কাজ। কারণ খিদে না পেলেও কিছু ঘণ্টার পরে কিছু খাবার খেয়ে নিলে আপনার শরীরের মেটাবলিজিম ঠিক ঠাক কাজ করতে পারে। যার ফলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া উচিত নয়
অবশ্যই ফাইবার শরীরের পক্ষে খুবই ভালো। কিন্তু বেশি ফাইবার জাতীয় খাবার আপনার হজম শক্তি বিগড়ে দিতে পারে। তাই খুব বেশি পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো।
শুধু শাক-সবজী খেলেই চলবে না
শাক-সবজী খাওয়া শরীরের পক্ষে খুবই ভালো। কিন্তু এই সবুজ এবং সতেজ খাবার খাওয়ার চক্করে অনেকেই ভুলে যান রেড মিটও শরীরের পক্ষে খুবই উপকারি।
বেশি রাতে খাওয়া ভালো নয়
অনেকেই রাতে ঘুম থেকে উঠে খাবার খেতে বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু বেশি রাতে খেলে কখনওই খাবার হজম হয় না। কারণ রাতে খাবার খেলে যে পরিমাণ ক্যালোরি আমাদের শরীরে ঢোকে তার একটুও নষ্ট হতে পারে না। যার ফলে মোটা হওয়ার প্রবণতা দেখতে পাওয়া যায়।
রোগা হয়ে গিয়ে খেতে ভুলে যাবেন না
রোগা হওয়ার জন্য কখনওই খাওয়া ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। কারণ সমস্ত ধরণের নিউট্রিশনই আমাদের শরীরের জন্য উপকারি। তাই বেছে খাবার না খেয়ে সব খাবার খান কিন্তু পরিমাপ কমিয়ে দিন। এর ফলে মোটা হওয়ার সমস্যার সম্মুখীন হয়ে হবে না।
স্যালাড খুব উপকারি নয়
সকলেই বলেন খাবারের সঙ্গে স্যালাড খাওয়া খুবই দরকারি। কিন্তু এই কথা সম্পূর্ণ ভুল, খুব তেল-মশলা জাতীয় খাবারের সঙ্গে স্যালাড খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কারণ স্যালাডের ওপরে অনেক সময় মিষ্টি জাতীয় কিছু মেশানো হয় যা শরীরের পক্ষে খারাপ।
ফ্যাট জাতীয় খাবার শরীরের জন্য উপকারি
সব থেকে বড় ভুল হল ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া কখনওই উচিত নয়। এই খাবার খেলেই মোটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু ভালো ফ্যাট এবং খারাপ ফ্যাটের ব্যাপার থাকে। ভালো ফ্যাট যে সমস্ত খাবারে থাকে তা সব সময় খাওয়া উচিত। ভালো ফ্যাট থাকে এমন খাবারগুলি হল, অ্যাভোগাডো, বাদাম ইত্যাদি।
চিংড়ি মাছ খাওয়া ভালো
চিংড়ি মাছ খেতে অনেকেই ভালোবাসেন। কিন্তু নিজেদের ডায়েটিং-এর জন্য অনেকেই চিংড়ি মাছ খাওয়া বন্ধ করে দেন। যা কখনওই ভালো নয়। কারণ মস্তষ্কের ঠিক ঠাক কাজ করার জন্য প্রয়োজন স্টেরোটোনিন, যা চিংড়ি মাছ থেকেই পাওয়া যায়।
স্যাচুরেটে ফ্যাট শরীরের জন্য উপকারি
অনেকেই স্যাচুরেটেড ফ্যাট জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকেন। কিন্তু এই ফ্যাট কোষের গঠনের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। কিন্তু অনেকেই মনে করে থাকেন এতে মোটা হয়ে যাবেন। তাই এই ধারনা সম্পূর্ণ ভুল। স্যাচুরেটেড ফ্যাট পাওয়া যায় ডিম, মাখন এবং নারকেলের তেল থেকে। যা শরীরের পক্ষে খুবই উপকারি।