বিজেপিকে ঠেকাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করতে আপত্তি নেই কংগ্রেসের, জানালেন রশিদ অলভি
আগামী পাঁচ বছরের জন্য কার দখলে দিল্লির তখত, তা জানতে বাকি আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। বুথ ফেরত সমীক্ষা দেখে ফল ঘোষণার আগেই কুর্সি নিয়ে আশাবাদী বিজেপি। তবে, হাল ছাড়তে নারাজ কংগ্রেসও। বিজেপিকে ঠেকাতে তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করতেও আপত্তি নেই কংগ্রেসের। এমনটাই জানিয়েছেন কংগ্রেস মুখপাত্র রশিদ আলভি।
আগামী পাঁচ বছরের জন্য কার দখলে দিল্লির তখত, তা জানতে বাকি আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। বুথ ফেরত সমীক্ষা দেখে ফল ঘোষণার আগেই কুর্সি নিয়ে আশাবাদী বিজেপি। তবে, হাল ছাড়তে নারাজ কংগ্রেসও। বিজেপিকে ঠেকাতে তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করতেও আপত্তি নেই কংগ্রেসের। এমনটাই জানিয়েছেন কংগ্রেস মুখপাত্র রশিদ আলভি।
তৃণমূল নেত্রীকে একজন সত্ রাজনীতিক বলেও সার্টিফিকেট দেন তিনি। গত দুটি লোকসভা নির্বাচনে ডাহা ফেল করেছিল যাবতীয় বুথ ফেরত সমীক্ষা। এবারও সঙ্ঘের নিজস্ব রিপোর্ট বলছে, বুথ ফেরত সমীক্ষায় যা বলা হচ্ছে তত আসন মিলবে না। ফলে, উতসবের মেজাজেও পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না বিজেপি নেতারা। নতুন বন্ধুর খোঁজে এডিএমকে, এনসিপি, বিজেডির কাছে যাচ্ছে বার্তা। বুধবার, এডিএমকে নেতা কে মলয়স্বামী, জয়ললিতার সঙ্গে মোদীর বন্ধুত্বের কথা মনে করিয়ে দেওয়ায় শুরু হয় জল্পনা। বৃহস্পতিবার, মলয়স্বামীকে দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জয়ললিতা। নবীন পট্টনায়েক বুধবারই জানিয়ে ছিলেন, ভোটের ফল দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। শরদ পওয়ারকে বিজেপি বার্তা পাঠালেও সূত্রের খবর আঞ্চলিক দলগুলিকে ইউপিএর দিকেই টানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মারাঠা স্ট্রংম্যান। ফলে, বুথ ফেরত সমীক্ষা ভরসা জোগালেও শুক্রবারের আগে নিশ্চিন্ত হতে পারছে না মোদী শিবির। উল্টো দিকে কংগ্রেস শিবিরের ছবিটা কেমন?
তবে, আকবর রোডের নেতাদের অনেকের মাথাতেই ঘুরছে অন্য ভাবনা। ম্যাজিক ফিগারের কিছুটা দূরে এনডিএ থমকে গেলে আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে সরকার গঠনের মরিয়া চেষ্টার পক্ষে তারা। আর এক্ষেত্রে মুলায়ম, মায়াবতী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে দশ জনপথ। ফল ঘোষণার আগের দিন কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মেয়ে কে কবিতা জানিয়েছেন, তাঁরা কেন্দ্রে ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের পক্ষে। ফলে, টিআরএসের সমর্থন পাওয়া নিয়ে কার্যত নিশ্চিত কংগ্রেস। এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে পরিস্থিতি বুঝে যাতে ঘুঁটি সাজানো যায়, এখন তারই আগাম ভাবনা চলছে জনপথ-আকবর রোডে।