হাড়োয়ায় গুলি: ধৃতদের হেফাজতেই চাইল না পুলিস
হাড়োয়ায় গুলি:ধৃতদের হেফাজতেই চাইল না পুলিস
গতকাল, সোমবার পঞ্চম দফা ভোটের দিন হাড়োয়ার ব্রাহ্মণচকে গুলি চালিয়ে হামলার ঘটনায় ধৃতদের হেফাজতেই চাইল না পুলিস। ফলে ধৃতদের চোদ্দ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক। এইঘটনায় ধৃত বারো জনকে আজ বসিরহাট আদালতে পেশ করা হয়। এদের মধ্যে এফআইআর-এ নাম ছিল মাত্র দুজনের। বাকি দশজনের নামই ছিল না এফআইআরে। ধৃতদের পুলিস হেফাজতের জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন বাদী পক্ষের আইনজীবী।
কিন্তু সরকারপক্ষের আইনজীবী পুলিসি তদন্তের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে সেই দাবি খারিজ করে দেন। এরপরেই ধৃতদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। গতকাল ব্রাহ্মণচকে হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন দুই মহিলাসহ চারজন। হামলা হয় চপার ও ভোজালি নিয়েও। সেই হামলায় আহত হন ষোলোজন। বিকেলের দিকে ওই গ্রামে যান নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক সুধীর কুমার। গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করার পাশাপাশি ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন তিনি। তাঁর নির্দেশেই মিনাখাঁর তৃণমূল বিধায়ক উষারাণী মণ্ডলের ভাইপো শুভঙ্কর মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিস।
এদিকে, সিপিআইএম কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণদিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে। নিহতের নাম সাবেকুল সরকার। আজ সকালে বাগধারা ব্রিজের তলায় তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। সিপিআইএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হীরেন সাহা এই ঘটনাকে রাজনৈতিক খুন বলেই দাবি করেছেন। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। সাবেকুলের বাবা হরসুরার প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান হাসিমুদ্দিন সরকার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।