একের পর এক ছবি হাতছাড়া হতে শুরু করে সুশান্তের! ল্যাপটপ, মোবাইল খতিয়ে দেখছে পুলিস

নিজস্ব প্রতিবেদন : সুশান্ত সিং রাজপুতের মত্যুর ২ দিন পর প্রয়াত অভিনেতার ব্যান্দ্রার চার্টার রোডের ফ্ল্যাটে ফের পৌঁছয় মুম্বই পুলিসের একটি দল। সুশান্তের ব্যান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে পুলিস অভিনেতার ল্যাপটপ, কাগজপত্র, চিকিতসকের প্রেসক্রিপশন বাজেয়াপ্ত করে। সুশান্ত সিং রাজপুতের মোবাইল ফোনটিও তদন্তের স্বার্থে বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে খবর।

আরও পড়ুন : কেরিয়ার ধ্বংস করে দিতে চাইছে খান পরিবার? সলমন খান-কে বয়কটের ডাক দিয়ে বিস্ফোরণ পরিচালকের

রিপোর্টে প্রকাশ, মঙ্গলবার পুলিস যখন সুশান্তের ব্যান্দ্রার ফ্ল্যাটে পৌঁছয়, সেই সময় সেখান উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত অভিনেতার প্রাক্তন বান্ধবী অঙ্কিতা লোখন্ডে। তবে তাঁকে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

छिछोरे हिट होने के बाद #सुशांत_सिंह_राजपूत ने सात फिल्में साइन की थी।
छह महीने में उसके हाथ से सारी फिल्में निकल गई थीं।क्यों ?
फ़िल्म इंडस्ट्री की निष्ठुरता एक अलग लेवल पर काम करती है।
इसी निष्ठुरता ने एक प्रतिभावान कलाकार को मार डाला।
सुशांत को विनम्र श्रद्धांजलि!#RIPSushant

— Sanjay Nirupam (@sanjaynirupam) June 14, 2020

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সুশান্ত সিং রাজপুতের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করার পর সেটি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিস। মোবাইল ফোনের লক খুলে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে সমস্ত তথ্য। পাশাপাশি সুশান্ত যে অবসাদ কাটানোর ওষুধ খাচ্ছিলেন, খতিয়ে দেখা হবে সেই তালিকাও। সেই সঙ্গে সুশান্তের ফ্ল্যাট থেকে যে কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে, সত্যিই প্রয়াত অভিনেতার সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল কিনা! সত্যিই তাঁর উপর কোনও চাপ ছিল কি না, তাও পুলিস খতিয়ে দেখবে বলে জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন : সুশান্তকে শেষবার দেখতে গিয়ে হু হু করে কেঁদে ওঠেন অঙ্কিতা, ভাইরাল ভিডিয়ো

এদিক কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপম দাবি করেন, ছিছোঁড়ের পর সুশান্তের হাতে প্রায় ৭টি ছবি ছিল। কিন্তু আচমকাই একের পর এক ছবি তাঁর হাত থেকে সরে যেতে শুরু করে। ৬ মাসের মধ্যে সুশান্তের হাত থেকে একের পর এক সিনেমা চলে যেতে শুরু করে। কেন একের পর এক সিনেমা সুশান্তের হাত ছাড়া হচ্ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস নেতা। সত্যিই কি সুশান্ত সিং রাজপুতের কেরিয়ারের উপর কেউ বা কারা প্রভাব খাটাতে শুরু করেছিলেন, যার জন্য করুণ পরিণতি হল অভিনেতার! সুশান্তের ল্যাপটপ, মোবাইল এবং কাগজপত্র খতিয়ে দেখে, সেই সব প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে পুলিসের তরফে।