Srabanti: ‘মানুষ এখন একটু বেশিই জাজমেন্টাল...’
Srabanti: যারা এই সমালোচনা করে, তাদের নিজেদের জীবন নিয়ে ভাবা উচিত। তারপর অন্যকে জাজ করুক। মানুষ একটু বেশিই জাজমেন্টাল হয়ে যায়। ট্রোল নিয়ে আমি আর বলতে চাই না, পাত্তাও দিই না।
সৌমিতা মুখোপাধ্যায়
মুক্তি পেয়েছে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি ‘কাবেরী অন্তর্ধান’। সেই ছবিতে কাবেরীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ছবি নিয়ে খোলাখুলি আড্ডায় জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের সঙ্গে ছবির নানা গল্প, অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন শ্রাবন্তী(Srabanti)।
প্র: কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কেমন ছিল অভিজ্ঞতা?
শ্রাবন্তী: ছোটবেলায় কৌশিকদার সঙ্গে কাজ করেছি। মানুষটা একই আছে। উনি নিজে তো বড়মাপের অভিনেতা, আমাকে চরিত্রটা এত ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে আমার কোনও সমস্যা হয়নি। আমি খুবই সাবলীল ছিলাম। ধন্যবাদ কেজিকে।
প্র: ৩০ বছর আগে আপনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আর এখানে একে অপরের বিপরীতে, কোনও অস্বস্তি হয়নি ?
শ্রাবন্তী: ছবিতে আমরা একে অপরের বিপরীতে না দম্পতি, সেটা বলব না। তার জন্য দর্শককে ছবি দেখতে হবে। থ্রিলারের সাসপেন্স আমি নষ্ট করব না। তবে হ্যাঁ! প্রায় ২৫ বছর আগে আমি বুম্বাদার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। এত বছর পর ওঁর সঙ্গে কাজ করাটা স্বপ্নের মতো। অনেকদিনের ইচ্ছে ছিল। বড় হওয়ার পর কখনও একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়নি। অপেক্ষায় ছিলাম কবে কাজ করব। অনেক ছবিতে কথা হলেও শেষপর্যন্ত হয়নি। কাবেরী অন্তর্ধান আমার কাছে লাকি কারণ এই ছবিতে আমি একসঙ্গে কেজি ও বুম্বাদার সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছি, যাঁদের সঙ্গে আমি ছোটবেলায় কাজ করেছি।
আরও পড়ুন- Watch: মান-অভিমান ভুলে ফের কাছাকাছি রাজ-পরীমণি, প্রকাশ্যে অদেখা ভিডিয়ো...
প্র: একেবারে সাবেকি লুকে দেখা গেছে আপনাকে...
শ্রাবন্তী: আমার লুক সেট করেছেন কেজি। একদমই মেকআপহীন একটা লুক।
প্র: কেরিয়ারের এই সময়ে দাঁড়িয়ে কোনধরনের ছবি প্রেফার করেন?
শ্রাবন্তী: আমি জল, আমাকে যে পাত্রে ঢালবে, সেই আকারই নেব। কমারশিয়াল ছবি হোক বা অন্যধারার ছবি হোক, সব ধরনের ছবিই করতে চাই। কারণ আমি অভিনেত্রী। আমাকে যেমন চরিত্র দেওয়া হবে, সেই চরিত্রই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করব।
প্র: আপনার সঙ্গে এই ছবিতে একগুচ্ছ দক্ষ অভিনেতা-অভিনেত্রী, শ্যুটিং সেট কি আপনার কাছে মাস্টারক্লাস ছিল?
শ্রাবন্তী: সত্যিই আমি শিখতাম। প্রায় সব কিছুই শিখেছি। আমি মুগ্ধ হয়ে দেখতাম। আমার শট না থাকলেও মনিটরের পাশে বসে কৌশিক সেন, চূর্ণীদি, বুম্বাদা, কেজির অভিনয় দেখতাম আর শিখতাম। ঐভাবে হয়তো বলতে পারব না, কী শিখলাম। তাঁদের অভিনয়ের দক্ষতা, স্থিরতা (কখন কতটা পজ দেওয়া উচিত), তাঁদের তাকানো, চলা ফেরা, অনেক কিছু শিখেছি।
প্র: কাবেরী অন্তর্ধানে আপনার মুখে একটি সংলাপ আছে, ‘আমার ন্যুডিটি আমার কনসার্ন, অন্য কারোর নয়’, বাস্তব জীবনে প্রায়শই পোশাক, শরীর, সম্পর্ক নিয়ে আপনাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়, তাই এখানে কী বাস্তব সিনেমা মিশে গেছে?
শ্রাবন্তী: যারা এই সমালোচনা করে, তাদের নিজেদের জীবন নিয়ে ভাবা উচিত। তারপর অন্যকে জাজ করুক। মানুষ একটু বেশিই জাজমেন্টাল হয়ে যায়। ট্রোল নিয়ে আমি আর বলতে চাই না, পাত্তাও দিই না। আমার একটাই বক্তব্য, যে খোলামেলা পোশাক পরছে সে যদি কমফোর্টেবল হয়, তাহলে অন্যদের কথায় কিছু যায় আসে না। অনেকের হয়তো তাঁকে দেখতে ভালো লাগছে। হাতের পাঁচটা আঙুল তো সমান হয় না।
প্র: ইনস্টা খুললেই আপনার ফিটনেস ভিডিয়ো চোখে পড়ছে, এর পিছনে বিশেষ কোনও কারণ?
শ্রাবন্তী: আমি ফিটনেস নিয়ে সচেতন। সব ছবির জন্যই আমি ফিট থাকতে চাই (হাসি)। রোগা বলব না, ফিট থাকতে চাই। ফিট থাকার জন্য ওজন কমাতে হবে। প্যান্ডেমিকে অনেক ওয়েট গেইন করেছি। আর ইমিউনিটি বাড়ানোও প্রযোজন। ওয়ার্কআউটের থেকে ভালো আর কী হতে পারে! আমি মেডিসিন খাওয়া পছ্ন্দ করি না। তাই ফিট থাকা জরুরি। প্যান্ডেমিকে প্রচুর খেয়েছি। আমি খেতে খুব ভালোবাসি আর যাতে যত ফ্যাট সেটাই আমার পছন্দ, যেমন- ঘি, বাটার, মাটন। এখন মনে হয়ে ফিটনেস দরকার।
প্র: তাহলে এখন কি কড়া ডায়েটে ?
শ্রাবন্তী: ডায়েট আমি করতে পারব না। খাব, আবার জিমে গিয়ে কসরত করব। কারণ আমি নিজের মনকে কষ্ট দিয়ে ডায়েট করতে পারব না। তবে এখন স্বাস্থ্যকর খাবার খাই।