জীবনের চেয়েও বড় বিনোদন? বাংলা সিরিয়াল নিয়ে প্রশ্ন ফেডারেশনের, উত্তর দিল চ্যানেল কর্তৃপক্ষ

নতুন কনটেন্ট দর্শকের কাছে  পৌঁছে দেওয়াই সেটাই ইন্ডাস্ট্রির প্রাথমিক লড়াই

Edited By: অনুসূয়া বন্দ্যোপাধ্যায় | Updated By: Jun 2, 2021, 09:15 PM IST
জীবনের চেয়েও বড় বিনোদন? বাংলা সিরিয়াল নিয়ে প্রশ্ন ফেডারেশনের, উত্তর দিল চ্যানেল কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদন: টলিপাড়ার শুটিং নিয়ে বিতর্ক। একদিকে যেমন শুরু হয়েছে 'শুটিং ফ্রম হোম', অন্যদিকে ফেডারেশন থেকে শুটিংয়ের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই স্বরূপ বিশ্বাস সিরিয়ালের বিভিন্ন দৃশ্য দেখিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আদৌ কি বাড়িতে থেকে এই শুটিং করা হয়েছে! দৃশ্যই বলে দিচ্ছে একাধিক আর্টিস্ট একসঙ্গে শুটিং করছেন, তাও বাড়ির চারদেওয়ালের মধ্যে নয়। ফলে বিধিনিষেধ মেনে চলা হচ্ছে না। স্বরূপ বিশ্বাস জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে এও জানান 'কীভাবে শুটিং করা হচ্ছে তার তদন্তের জন্য একটি  কমিটিও গঠন করেছে ফেডারেশন। প্রয়োজনে এই কমিটি প্রশাসনেরও সাহায্য নেবেন'। বাড়ি থেকে শুটিং করে পাঠানোর কথা থাকলেও তা না করে বিভিন্ন হোটেল, রিসর্ট বা বাড়ি ভাড়া করে শুটিং করা হচ্ছে, বাদ যাচ্ছেন টেকনিশিয়ানরা। বিশেষ করে দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা বিভিন্ন সিরিয়ালের সঙ্গে যুক্ত তাঁদেরকে শুটিংয়ে ডাকাই হচ্ছে না। ফলে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ছেন তাঁরা। প্রশাসন থেকে বিধিনিষেধ রাখার পরও কীভাবে শুটিং হচ্ছে, জীবন না বিনোদন কোনটা আগে? প্রশ্ন স্বরূপের। এর উত্তরে প্রযোজকরা আগেই জানিয়েছিলেন 'শুট ফ্রম হোম' করতে কোনও বাধা নেই। চ্যানেলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। চ্যানেল চাইলে তাঁরা নিয়মিত নতুন পর্ব দিতে বাধ্য।

আরও পড়ুন: ৯৫ কেজি থেকে পারফেক্ট ফিগার, সোনার মেয়ের জন্মদিনে রইল সেই গল্প

ZEEL এর ক্লাস্টার হেড ইস্ট সম্রাট ঘোষ জানান, 'আমাদের বেশিরভাগ ধারাবাহিকের ব্যাঙ্কিং ছিল, ১৫ দিনের লকডাউন হলে কোনও অসুবিধা হত না। তবে বিধিনিষেধ বেড়ে  একমাস হয়ে যাওয়ায় কয়েকটি সিরিয়ালের এপিসোডের ঘাটতি দেখা যায়। সেই জন্যই প্রযোজকদের সঙ্গে মিলে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।' সম্রাট আরও জানান টেলিকাস্টে যা দেখা যাচ্ছে তাতে  ফ্ল্যাশব্যাক দেখিয়ে এপিসোডের সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে। প্রয়োজনে সিরিয়ালের পুরোনো দৃশ্যও ব্যবহার করা হচ্ছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে লং শট দেখিয়ে ভয়েস ওভার করানো হচ্ছে যাতে গল্পের চলন দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্য় হয়। তিনি আরও জানান, কিছু শুটিং আগেও করা হয়েছিল যা এখন ব্যবহার করা হচ্ছে। সিরিয়ালের প্রয়োজনে বিভিন্ন ট্র্যাকের গল্পের শুটিং একসঙ্গে হয়, তা ফেডারেশন জানে। তিনি আরও বলেন- 'বিধিনিষেধ না মেনে যদি আমরা শুটিং করতাম তাহলে  'রাণী রাসমণি' র শুটিং বন্ধ থাকত না। বারবার শুটিংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কিন্তু একটা বিষয় ভাবতে হবে, লকডাউনে মানুষের কাজ কম, তাই টেলিভিশনের সামনে এখন বেশি দর্শক। তাই তাঁদের কাছে প্রতিদিন নতুন এপিসোড পৌঁছে দেওয়া জরুরি। না হলে দর্শক বিনোদনের অন্য রাস্তা খুঁজে নেবেন, যা বাংলা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভাল হবে না। লকডাউন উঠে গেলেও তাঁদের আর ফেরানো যাবে না।' 

আরও পড়ুন: Vogue- ম্যাগাজিনের কভারে এবার Malala Yousafzai

ফেডারেশনের তরফ থেকে টেকনিশিয়ানের পারিশ্রমিক নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। প্রযোজকদের পর এবার চ্যানেল কতৃপক্ষও জানালেন কলাকুশলীরা লকডাউন পর্বে কাজ করুন বা না করুন, কোনওভাবেই তাঁদের পারিশ্রমিক বন্ধ হবে না। এখন যেভাবে শুটিং হচ্ছে তা একটা নতুন ফরম্যাট,ইউটিউবাররাও এইভাবেই শুটিং করেন। রিং লাইট ও ফোনের সাহায্যে শুটিং করলে তার মান খুব খারাপ হয় না। আমরা চাই এই কঠিন সময় সকলে হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে যাক। বিধি নিষেধ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে নতুন কনটেন্ট দর্শকের কাছে  পৌঁছে দেওয়া যায় সেটাই আমাদের প্রাথমিক লড়াই। নতুন এই উদ্যোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চাই যাতে কম টেকনিশিয়ান নিয়ে আমরা কাজ শুরু করতে পারি। সম্প্রচারিত এপিসোডের গুণগত মানও যেন ভাল হয়।

.