কেন দেখতে যাবেন সরবজিত্?
কেন দেখতে যাবেন এই হপ্তার একমাত্র হিন্দি রিলিজ সরবজিত্ ? রণদীপ না ঐশ্বর্যা, কে বেশি দর্শক টানবেন? ফিল্ম সমালোচক শর্মিলা মাইতি জানাচ্ছেন পাঁচটি কারণ।
১. রণদীপ হুদা। যে মানুষটি ২৩ বছর একটানা পড়ে থেকে থেকে পচেছে জেলের নিশ্ছিদ্র অন্ধকারে। কখনও আলোর ঝলকানি এলে সেটুকুতেই পড়ে নিতে চেয়েছে প্রিয়জনের পাঠানো চিঠি। হঠাত্ বর্ডার পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া এক সাধারণ মানুষের কী হতে পারে? এই প্রশ্নগুলো যাদের মাথায় গুনগুন করছে, তাদের রণদীপ হুদা বুঝিয়ে দেবেন যে, তিনি কী কী পারেন। এটা রণদীপের সেরা অভিনয় বললে কমই বলা হবে। তিনি বলিউডে অভিনয়দিগন্তে মশালটা পুঁতে দিলেন। সাবধান!
২. একা ঐশ্বর্যা নয়, ছবিটা দেখুন রিচা চাড্ডার জন্যে। নির্বাকও যে কত সবাক, সোচ্চার, তীক্ষ্ণ, দৃঢ হতে পারে, সেটা না দেখলে বিশ্বাস করতে পারবেন না। মাসান-এর পর থেকে ক্রমেই চমক দেখিয়ে চলেছেন রিচা। সংলাপ নয়, কথা বলে তাঁর ইন্দ্রিয়। পলক না ফেলে দেখতে ইচ্ছে করে তাঁর জীবনের যন্ত্রণা, দু দশক ধরে আশা বুকে বেঁধে দুই মেয়েকে মানুষ করা।
৩. যে বিরাট অনির্দেশ্য লড়াইটা একটানা করে চলে সরবজিতের বোন দলজিত্, সেই কাহিনিটা উপস্থাপিত মহাকাব্যের ঢঙে। পর্দায় একটা সম্পূর্ণ এপিক দেখতে পাই আমরা। দুই দেশের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, অনাবশ্যক দেরি, টানাপড়েন আর তারই মাঝে লড়তে থাকা দুই ভাই-বোন। একজন লড়ছে ভিতরে। অপরজন বাইরে।
৪. ঐশ্বর্যা নিরাশ করলেন বলা ভুল হবে। স্থানবিশেষে তাঁর অভিনয় স্তব্ধ করে দেয়। কিন্তু এখনও তিনি আমায়-দেখুন এর ঊর্ধ্বে উঠতে পারেননি। চোখের দৃষ্টি, ভ্রুভঙ্গি, রাগ, ক্ষোভ, সবেতেই ঠেলে বেরিয়ে আসছে গ্ল্যামার কোশেন্ট। সময়ের হস্তক্ষেপে চুলে রুপোলি রেখা, কিন্তু মুখে একটিও বলিরেখা নেই! কেমন করে মানব বলুন? তবু রণদীপের সঙ্গে জেলে দেখা করার দৃশ্যগুলি অবিস্মরণীয়।
৫. মিলিয়ে দেখুন ইতিহাস, স্মৃতি, ইন্টারনেট আর কখনও ভুল করে জমিয়ে রাখা পেপার কাটিং। সরবজিত্ সিং আটওয়ালের জীবনযুদ্ধ অত্যন্ত সত্ এবং নিখুঁতভাবে পরিবেশিত। তথ্যগত দিক থেকে প্রায় নির্ভুল।