জননী স্বাস্থ্যে স্বাধীনতা: কলকাতার বস্তি এলাকার মানুষদের সুরক্ষা দিতে উদ্যোগী রুদ্রনীল
মানুষের হাতে সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিতে বিশেষ উদ্যোগী হলেন অভিনেতা, সমাজসেবী রুদ্রনীল ঘোষ।
নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার মতো বিশ্ব মহামারীর এই সময় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দেশের দৈনিক রোজগেরে মানুষ। এই পরিস্থিতিতে কলকাতার বিভিন্ন বস্তি এলাকার মানুষের হাতে সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিতে বিশেষ উদ্যোগী হলেন অভিনেতা, সমাজসেবী রুদ্রনীল ঘোষ। ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবস, আর তার ঠিক আগেই গরিব মানুষগুলিকে 'স্বাস্থ্যে স্বাধীনতা' দিতেই উদ্যোগী রুদ্রনীল।
এবিষয়ে অভিনেতা ও সমাজসেবী রুদ্রনীল ঘোষের সঙ্গে Zee 24 ঘণ্টা ডট কমের তরফে যোগাযোগ করা হয়। রুদ্রনীল জানান, ''বিশ্বমহামারী আমাদের প্রাণে মেরেছে, আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। লকডাউনে বহু গরিব মানুষের কাছেই কাজ ছিল না। দেশকে আর্থিক ভাবে সচল করতে সরকার কিছুটা বাধ্য হয়েই লকডাউন তুলে নিয়েছে। লকডাউন ওঠার পর এই মানুষগুলিই কিন্তু আবার আমাদের বাড়িতে কাজ করতে আসছেন। যেমন কলকাতা পুরসভার রেজিস্টার করা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বস্তি রয়েছে। যেখানে প্রায় ১৮ থেকে ২০ লক্ষ মানুষ বাস করেন। তাঁদের অনেকেই আমাদের বাড়িতে কাজ করতে আসেন। আবার কেউ বিভিন্ন বিল্ডিংয়ের নিরাপত্তারক্ষী, উবর, ওলা চালক হিসাবে কাজ করেন। আমরা নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে রোজ স্যানিটাজার, ভিটামিন সি, মাস্ক সহ আরও বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার করছি। এই জিনিগুলি ওনাদের কেনার সামর্থ্য নেই। অথচ ওনাদেরও দরকার রয়েছে। তাই এই প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি বস্তি এলাকার গরিব মানুষগুলোর কাছে পৌঁছে দিতে আমরা উদ্যোগী হয়েছি। ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবস। তার আগে মহামারী আমাদের পরাধীন করে রেখেছে। তাই আমরা এই প্রকল্পের নাম দিয়েছি জননী স্বাস্থ্যে স্বাধীনতা।''
রুদ্রনীল আরও জানান, ''আদপে ওই গরিব মানুষগুলোকে সুরক্ষা দিলে আমদের গোটা সমাজই সুরক্ষিত থাকবে। এটা হয়ত আমরা অনেকসময় ভুলে যাই। সরকার অনেক করছে। তবে সবটা সরকারের পক্ষেও সম্ভব নয়। তাই এই কঠিন সময়ে মানুষ মানুষের পাশে না দাঁড়ালে পরিস্থিতির মোকাবিলা সম্ভব নয়। যেকোনও দেশেই ঘিঞ্জি এলাকাতেই সবথেকে বেশি মহামারী ছড়াই। তাই এই উদ্যোগ নিয়েছি। ১৪ অগস্ট শুক্রবার গলফগ্রিন এলাকার রংকল বস্তি থেকে আমরা কাজটা শুরু করছি। তবে এই উদ্যোগে আমার সঙ্গে ওহো এক্সপ্রেস বলে একটি সংস্থা এগিয়ে এসেছেন। তাঁরা এই সমস্ত কিট দেওয়ার ভার নিয়েছেন। পাশাপাশি সঞ্জীবন হাসপাতাল, প্রত্যেক মাসে বস্তি এলাকার ২০ জন করে কোভিড রোগীকে বিনা মূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেবেন।''
রুদ্রনীলের কথায়, ''ওহো এক্সপ্রেস ও সঞ্জীবন হাসপাতাল সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও এই উদ্যোগকে চালিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের আরও সাহায্যের প্রয়োজন। তাই সরকারি, বেসরকারি, সহ বিভিন্ন মানুষকে আমি এই উদ্যোগে সামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বিভিন্ন মানুষ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও এগিয়ে আসছেন। আদপে এই উদ্যোগে আমরা সমাজের একটা বড় অংশকেই সুরক্ষা দিতে পারবো।''