দুই বাংলাকে এক করার আবেদন ঋতুপর্ণর

তাঁর হাত ধরেই নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে সমকালীন বাংলা ছবি। এবার সেই বাংলা ছবির উন্নতির খাতিরেই ভারত-বাংলাদেশ যৌথ মঞ্চ তৈরির আবেদন করলেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ।

Updated By: Dec 16, 2012, 04:16 PM IST

তাঁর হাত ধরেই নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে সমকালীন বাংলা ছবি। এবার সেই বাংলা ছবির উন্নতির খাতিরেই ভারত-বাংলাদেশ যৌথ মঞ্চ তৈরির আবেদন করলেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ।
গত বৃহস্পতিবার মিডিয়া অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্ট বিজনেস কলক্লেভ-ইস্টের(এমবিইসি) দ্বিতীয় দফার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঋতুপর্ণ বলেন, "আমরা বাংলা ভাষার দ্বারাই পরস্পরের সঙ্গে আবদ্ধ। বাংলা ভাষার জন্যই এই দেশটা গড়ে উঠেছিল (বাংলাদেশ)। যদি আমরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতে শেখানো সবরকম আমলাতান্ত্রিক বাহ্যিক মোড়ককে দূরে সরিয়ে রেখে বাংলা ভাষার ছবির একটাই ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করতে পারি, সেটা অনেক বেশি আকর্ষণীয় হবে"।
ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত এমবিইসি-র মাধ্যমে প্রাদেশিক চলচ্চিত্র জগতের নির্ভরযোগ্য তথ্য সরকারের হাতে আসবে। তাদের প্রত্যাশা ও প্রতিকূলতা সম্পর্কেও অবহিত সরকার হতে পারবে। এদিনের অনুষ্ঠানে ঋতুপর্ণ আরও বলেন, "ভারত ও বাংলাদেশ ছাড়াও সারা বিশ্বে প্রচুর বাঙালি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। কলকাতার বিনোদন জগতের একটা বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পাওয়া উচিত। প্যান-ইন্ডিয়ান পরিচিতি দিয়ে শুরু করে সারা বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পাওয়া উচিত"।
অনুষ্ঠানে বাংলা বিনোদন নিয়ে বিশেষ আলোচনায় ঋতুপর্ণর সঙ্গে অংশ নেন প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায় ও ঊষা উত্থুপ। ছবি তৈরি ও প্রদর্শনের জন্য বিশেষ কর্মশালারও আয়োজন করেছে এমবিইসি। ছবি তৈরির ক্ষেত্রে এইসব কর্মশালার গুরুত্ব প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণ বলেন, "ভবিষ্যতে সাফল্য পাওয়ার জন্য এইসব কর্মশালাই প্রথম পদক্ষেপ। এখানে সত্যিই কোনও ঠিকঠাক ফিল্ম স্কুল নেই। ক্রমাগত চর্চার মাধ্যমেই চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নতি হয়েছে। ছবি তৈরির হাতেকলমে শিক্ষা ও বাণিজ্যে সচেতন প্রচারেরও অভাব রয়েছে। যদি আমরা সারাবছর ধরে বিভিন্ন কিস্তিতে এরকম কর্মশালার আয়োজন করতে পারি, তাহলে সারা দেশের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগও বাড়বে। আমাদের নিজেদের দক্ষতাও বাড়বে"।

.