Raj Vs Srijit: সৃজিত=রাজ-সংঘাত
ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পরিচালক সৃজিত। কী বললেন রাজ?
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ বনাম সৃজিত,নন্দন ১-এ ছবি রিলিজ নিয়ে যুযুধান দুই পক্ষ। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের(Srijit Mukherji) ছবি 'এক্স ইকুয়ালস টু প্রেম'(Ex=Prem) নন্দনে জায়গা পায়নি। অথচ, নন্দনে প্রদর্শিত হতে চলেছে পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর(Raj Chakraborty) ছবি 'হাবজি গাবজি'। কেন নন্দন ১-এ ব্রাত্য হল সৃজিতের ছবি। ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পরিচালক। প্রসঙ্গত সৃজিত ও রাজের দুটি ছবিই মুক্তি পাচ্ছে ৩ জুন।
বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পোস্টে নাম না করে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় লেখেন, একই দিনে দুটি ছবি মুক্তি পাচ্ছে। দুটি ছবির জন্যই নন্দনে দেখানোর আবেদন করা হয়েছিল। অথচ একটি ছবিই নন্দনে জায়গা পেয়েছে। সৃজিতের কথায়, দুটি ছবিই নন্দনে জায়গা পাওয়া উচিত ছিল। নাহলে কোনওটারই পাওয়ার কথা ছিল না। তবে কেন এমন হল? প্রশ্ন তোলার পর উত্তরটাও নিজেই দিয়েছেন সৃজিত। লিখেছেন, যদিও সব ছবিই সমান। কিছু ছবি হয়ত অন্যগুলির চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে নাম না করে ফেসবুকে সৃজিতের কথার জবাব দিয়েছেন পরিচালক রাজ। তিনি লেখেন, 'হাবজি গাবজি' নিয়ে কন্ট্রোভার্সি করে লাভ নেই। কাল ছবি কথা বলবে। শুধু তাই নয়, Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে ফোনে রাজ বলেন, ''কাল ছবির মুক্তি। আমি কি এখন হাবজি গাবজি নিয়ে বিতর্ক করব? কেউ তো হাবজি-গাবজি কন্ট্রোভার্সি করার চেষ্টা করছে। ছবি চলবে ছবির মেরিটে। উনি নন্দন নিয়ে বলছেন, ওঁর ছবি তো নবীনা, প্রিয়া স্টার, অশোকাতেও জায়গা পায়নি। শুধু নন্দন নিয়ে কেন কথা হচ্ছে? সেটাও কি রাজ চক্রবর্তীর কারসাজি? নন্দনে কোন ছবি থাকবে না থাকবে সেটা নন্দন কর্তৃপক্ষ ঠিক করবে। আর আমার প্রথম কোনও ছবি নন্দনে দেখানো হচ্ছে। আমি খুশি। আমি চাই দর্শক সৃজিত ও আমার দুজনের ছবিই দেখুন।''
জি ২৪ ঘণ্টার তরফ থেকে নন্দন সিলেকশন কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, নন্দন-১এ একদিনে চারটি সিনেমা দেখানো যায়। কয়েকদিন ধরে হাউজফুল থাকা পুরনো তিনটি ছবির পাশাপাশি আগামী সপ্তাহের জন্য হাবজি গাবজি-কে বেছে নেওয়া হয়েছে। সৃজিতের ছবিকেও নির্বাচন করা হয়েছে। কিন্তু নন্দন১-এ জায়গা পায়নি এই ছবি। সৃজিতের 'এক্স ইকুয়ালস টু প্রেম'-কে নন্দন-২ দেখানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ডিস্ট্রিবিউটর ও পরিচালক কেউই নন্দন ২-এ ছবির প্রদর্শনে রাজি হননি। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়।