Rhea থেকে Pori Moni, বারবার মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার স্বাধীনচেতা নায়িকারা!
বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণিকে ঘিরে উত্তাল সোশাল মিডিয়া।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বলিউডের অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী(Rhea Chakraborty) হোন বা বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণি(Pori Moni),সারা বিশ্বেই মিডিয়া ট্রায়ালের চিত্রটা যেন একই। নায়িকাদের অবস্থান প্রায় সর্বক্ষেত্রেই সমান। কোথাও কি এদের স্বাধীন জীবন,সাফল্য ভয় দেখাচ্ছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজকে! সমাজের পুরুষ নির্ধারিত চেনা ছক এঁরা মানছেন না বলেই কি বারবার মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হতে হচ্ছে এঁদের। বিচারের আগেই কেন খাপ বসিয়ে সমাজ তাঁকে নষ্ট মেয়ে সাব্যস্ত করে দিচ্ছে? এমন প্রশ্নই উঠল আরেকবার। নেটিজেনরা মুখর হলেন পরীমণি ও রিয়া চক্রবর্তীকে একই আসনে বসিয়ে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণিকে ঘিরে উত্তাল সোশাল মিডিয়া। মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় কিছুদিন আগেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বাড়িতে মজুত করেছিলেন বেশ কয়েকটি বিদেশি মদের বোতল, এল এস ডি সহ কয়েক ধরনের মাদক। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে শামসুন্নাহার স্মৃতি, যাঁকে সবাই পরীমণি নামেই চেনে, খুব তাড়াতাড়িই খোলামেলা পোশাক ও সাহসী বক্তব্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে। অভিনেত্রী হওয়ার সুবাদে ঢাকার প্রভাবশালী মহলেও তাঁর অবাধ বিচরণ। ছোটবেলায় বাবা-মা মারা যাওয়ায় একা একাই মাথা তুলে স্বাতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠা করেছেন এই অভিনেত্রী। এতদিন সবাই জানতেন পরীমণি মদ্যপান করেন কিন্তু তাঁর বিরূদ্ধে এ যাবৎ কোনও অভিযোগ কেন আনেনি ব়্যাব? সমাজের প্রভাবশালী পুরুষের দিকে আঙুল তোলাতেই কি পরীমণির জীবনে নেমে এল এই বিপত্তি। অর্থাৎ যতদিন না পুরুষের সিংহাসন টাল খায়, ততদিন সবকিছুই ঠিক আছে যেই তার ভরকেন্দ্র নড়ে যায় অমনি সমাজ তাকে ডাইনি সাজিয়ে দেয়,তারই আজকের চেহারা মিডিয়া ট্রায়াল। প্যাট্রিয়ার্কি লিখছে মন্দ মেয়ের উপাখ্যান। এরকমই কিছু প্রশ্ন ঘুরপাক হচ্ছে মানুষের মনে। বাংলাদেশের সামাজিক সমালোচনায় মুখর সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন পাশে দাঁড়িয়েছেন পরীমণির।
আরও পড়ুন:Exclusive Roshan Singh: Zee ২৪ ঘন্টার ইন্টারভিউয়ের কমেন্ট সেকশনে ট্রোলড শ্রাবন্তী,রেগে 'আগুন' রোশন
পরীমণির বর্তমান অবস্থা দেখে অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে বলিউডের অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর কথা। প্রায় এক বছর আগে এরকমই কিছু মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে। আচমকাই সুইসাইড করেন রিয়ার বয়ফ্রেন্ড সুশান্ত সিং রাজপুত। কোনও কিছু প্রমাণ হওয়ার আগেই মিডিয়া কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল রিয়াকে। ডাইনি আখ্যা দিয়ে রিয়ার চরিত্র নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে কোনও খামতি রাখেনি সোশাল মিডিয়া। কোর্টে রিয়ার বিরূদ্ধে কোনও অভিযোগই প্রমাণ করা যায়নি কিন্তু এর জেরেই বদলে গেছে রিয়ার জীবন। হাত থেকে বেরিয়ে গেছে একের পর এক কাজ, মানুষের চোখে বদলে গেছে অভিনেত্রী রিয়ার ইমেজ। অনুমান করা হচ্ছে কিছুটা সেইদিকেই এগোচ্ছে পরীমণির ট্রায়াল। এখনও অবধি পরীমণিকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারেনি ব়্যাব। কিন্তু ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের মিডিয়া থেকে শুরু করে সোশাল মিডিয়া তাঁকে ডাইনি আখ্যা দিয়েছে। এখন অপেক্ষা কোর্টের ট্রায়ালের ফলাফলের কিন্তু সেই ধৈর্য্যও হারিয়েছে মানুষ।