বিমানের মধ্যে মেয়েকে স্তন্যপান করাতে গিয়ে অপ্রস্তুত হতে হয়েছিল: নেহা ধুপিয়া

মাতৃত্ব ও সন্তানকে স্তন্যপান করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া।  

Updated By: Aug 2, 2019, 01:43 PM IST
বিমানের মধ্যে মেয়েকে স্তন্যপান করাতে গিয়ে অপ্রস্তুত হতে হয়েছিল: নেহা ধুপিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদন: সেলেব হোন কিংবা আম আদমি মা ও সন্তানের সম্পর্ক সবক্ষেত্রে সবসময়ের জন্যই এক। মাতৃত্ব মেয়েদের জীবনে অনেককিছুই বদলে দেয়। সম্প্রতি,  আন্তর্জাতিক স্তন্যপান সপ্তাহে মাতৃত্ব ও সন্তানকে স্তন্যপান করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া।  

সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়ে মেহেরের সঙ্গে কাটানো কিছু মুহূর্তের বিশেষ একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন নেহা। যেখানে অবশ্য নেহার মেয়ের মুখ প্রকাশ্যে আনা হয়নি। মা হওয়ার পর কীভাবে কাজ ও সন্তানের জন্য সময় ভাগ করে নিয়েছেন এই ভিডিয়োতে সেবিষয়ে কথা বলেছেন নেহা। তাঁর কথায়, মা হওয়ার বিষয়টা তাঁর কাছে এক্কেবারেই সহজ ছিল না। তাঁর কথায়, গত ৮ মাস তাঁর কাছে ভীষণই কঠিন ছিল। মেয়ের জন্য অনেক রাত জেগেই কাটাতে হয়েছে তাঁকে। আবার মাতৃত্ব তাঁকে একসঙ্গে অনেক আনন্দও দিয়েছে।

আরও পড়ুন-প্রেমিকের অবহেলায় ভেঙে পড়েন পরিণীতি চোপড়া!

সন্তানকে স্তন্যপান করানো যে কতটা প্রয়োজনীয় তা নিয়েও এই ভিডিয়ো বার্তায় মুখ খুলেছেন অভিনত্রী। তাঁর কথায়, ''টানা ৬ মাস শুধুমাত্র স্তন্যপান করানো ছাড়া মেহেরকে খাওয়ানোর আর কিছুই ছিল না। তাই এটা মা হিসাবে আমার কাছে ভীষণই কঠিন ছিল। বিশেষ করে যখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হত তখন ওকে কীভাবে খাওয়াবো আমি বুঝতে পারতাম না। এমনও হয়েছে, বিমানে করে কোথাও যাচ্ছি অথচ মেহেরের (নেহার মেয়ে) খিদে পেয়েছে। ওকে কীভাবে খাওয়াবো বুঝতে পারছিলাম না। অগত্যা বিমানের শৌচাগারে গিয়ে বসে ওকে স্তন্যপান করাতে হয়েছে। কারণ, মা হিসাবে সন্তান যখন খিদের জন্য কাঁদবে সেটা সহ্য করা যায় না। টানা ১৫ মিনিট শৌচাগার আটকে রাখার জন্য আমি অন্য যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। তবে আমার মনে হয়েছে সন্তানকে স্তনপান করা নিয়ে প্রত্যেক মায়ের স্বাধীনতা থাকা উচিত। এখানে কোনও জড়তা থাকা ঠিক নয়। আন্তর্জাতিক স্তন্যপান দিবসে আমি পৃথিবীর সমস্ত মায়েদের এবিষয়ে উৎসাহ দিতে চাই। আমি চাইব স্তন্যপান নিয়ে সব মায়েরাই তাঁদের অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন।''

নেহা আরও বলেন, '' আমার মনে হয় আমি ভীষণই ভাগ্যবান যে মেহেরকে বড় করার ক্ষেত্র অঙ্গদ ( নেহার স্বামী) ও পরিবারের অন্যান্যদের আমি ভীষণই সাহায্য পেয়েছি বা পাচ্ছি।''

 
 
 
 

 
 
 
 
 
 
 
 
 

 

প্রসঙ্গত, নেহা ধুপিয়াকে শেষবার দেখা গিয়েছিল কাজলের সঙ্গে 'হেলিকপ্টার ইলা' ছবিতে। এই মুহূর্তে রিয়েলিটি শো 'রোডিজ.'-এর শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন নেহা।

আরও পড়ুন-'নারীর স্তনের ক্ষেত্রে হিন্দু-মুসলিম দেখেন না', অমিত শুক্লাকে খোঁচা স্বস্তিকার

.