সাত পাকে মৌরি
সকাল থেকেই রুবির টেগোর পার্কের হীরা গার্ডেনে তুমল ব্যস্ততা। উলু, শঙ্খধ্বনি, সানাই আর হাঁকডাক। এই না হলে বিয়েবাড়ি। মৌরির বিয়ে বলে কথা। সকালে সব রীতিনীতি মেনে ধুমধাম করে হয়ে গেল গায়ে হলুদ পর্ব। সন্ধ্যা লগ্নে সাত পাকে বাঁধা পড়বেন মানালি-সপ্তক।
সকাল থেকেই রুবির টেগোর পার্কের হীরা গার্ডেনে তুমল ব্যস্ততা। উলু, শঙ্খধ্বনি, সানাই আর হাঁকডাক। এই না হলে বিয়েবাড়ি। মৌরির বিয়ে বলে কথা। সকালে সব রীতিনীতি মেনে ধুমধাম করে হয়ে গেল গায়ে হলুদ পর্ব। সন্ধ্যা লগ্নে সাত পাকে বাঁধা পড়বেন মানালি-সপ্তক।
বউ কথা কওয়ের পর মানালি সব বাঙালি পরিবারেরই ঘরের মেয়ে। আর পাঁচজনের মতোই তাই সব আচার অনুষ্ঠান মেনেই টুকটুকে লাল বেনারসিতে সেজে ছাদনাতলায় যাবেন মৌরি। তারকা বর্জিত বিয়ের অনুষ্ঠানে থাকবেন শুধু পরিবারের লোকজন আর ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব। সাত তারিখে রয়েছে ইন্ডাস্ট্রি পার্টি। সেদিনই পুরো টলিপাড়া শুভেচ্ছা জানাতে আসবে মানালিকে।
বিয়েতে লাল বেনারসি পরলেও বৌভাতে এটকু অন্যরকম সাজই পছন্দ মানালির। ওই দিনের জন্য বেছে নিয়েছেন গোলাপি জরদৌসি। কেমন লাগছে আজ? লাজুক মুখে মানালি জানালেন, "এরকম অভিজ্ঞতা আগে শুটিংয়ে হয়েছে। এখন আনন্দের থেকে বেশি মন খারাপ হচ্ছে। বাপি, মা, দাদু বাড়ির সবাইকে ছেড়ে শ্বশুরবাড়ি চলে যেতে হবে"। একই রকম কথা বললেন মানালির মাও। "আনন্দ হচ্ছে খুবই। কিন্তু খুব খারাপ লাগছে। একটা মাত্র মেয়ে। সে বিয়ে হয়ে চলে যাচ্ছে, খুব খারাপ লাগছে"। মনখারাপের মাঝেই শোনা গেল জামাইয়ের প্রশংসাও।
আর বিয়ে মেনু? মৌরির বাবা জানালেন আর পাঁচটা বাঙালি বিয়েবাড়ির মতোই হচ্ছে বিয়ের মেনু। লাচ্চা পরোটা, ডাল মাখানি, পোনা মাছের কালিয়া, মাটন কষা, দই, মিষ্টি সবকিছুই থাকছে মেনুতে।
একজন ছিল রিয়্যালিটি শো-এর প্রতিযোগী। অন্যজন বিচারক। ওয়াদা রাহা পেয়ার সে পেয়ার কা....সপ্তকের কণ্ঠে এই গান শুনেই মন দিয়ে ফেলেছিলেন সেলিব্রিটি জাজ মানালি। সেখান থেকেই শুরু প্রেম। সেইসময় শুধু মৌরিকে (মানালি) দেখার জন্যই প্রতিদিন `বউ কথা কও` দেখতেন সপ্তক। ৩ বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর বিয়ে। তবে মানালির কথায়, "তিন বছরের প্রেমটা তিন বছর মনেই হচ্ছে না। মনে হচ্ছে এই শুরু হল, এই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে"।
বিয়ের আসরে মৌরিকে দেখুন ১ ডিসেম্বর Showbiz-এ, দুপুর ২:৩০-এ, ২৪ ঘণ্টায়।