অবশেষে স্বপ্নপূরণ, 'অ্যাম্বুলেন্স দাদা' করিমুল হকের জীবন নিয়ে তৈরি হচ্ছে ছবি
শুক্রবার মুম্বইতে প্রযোজক করিম মোরানির সঙ্গে চুক্তি পর্ব সেরে ফেলেছেন করিমুল হক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সবার প্রিয় ডুয়ার্সের 'অ্যাম্বুলেন্স দাদা' করিমুল হকের জীবন এবার স্থান করে নিতে চলেছেন সেলুলয়েড। তৈরি হবে করিমুল হকের বায়োপিক। যদিও গত দুবছর ধরেই জলপাইগুড়ির পদ্মশ্রী প্রাপ্ত 'অ্যাম্বুলেন্স দাদা' কে নিয়ে সিনেমা তৈরির কথা শোনা যাচ্ছিল। তবে নানান কারণে সেটা আর হয়ে ওঠেনি। অবশেষে স্বপ্ন বাস্তাবায়িত হতে চলেছে। শুক্রবার মুম্বইতে প্রযোজক করিম মোরানির সঙ্গে চুক্তি পর্ব সেরে ফেলেছেন করিমুল হক।
শুক্রবার মুম্বইয়ের পাঁচতারা হোটেলে চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সময় ছিলেন পরিচালক বিনয় মুদগাল। তিনিই 'অ্যাম্বুলেন্স দাদা'র জীবন নির্ভর ছবির পরিচালক। জলপাইগুড়ির এক অখ্যাত গ্রাম রাজাডাঙার বাসিন্দা করিমুল হক। 'অ্যাম্বুলেন্স দাদা' নামেই পরিচিত তিনি। পদ্মশী পাওয়ার পরই তাঁর পরিচয় গোটা দেশের মানুষ জানতে পারেন।
আরও পড়ুন-হবু বর ভিকির সঙ্গে শীতের দেশে বেড়াতে যেতে চাইলেন অঙ্কিতা, ক্ষিপ্ত সুশান্ত অনুরাগীরা
করিমুল হক জানান, তাঁর জীবনকাহীনী নিয়ে ছবির শ্যুটিং হওয়ার কথা রয়েছে ২০২০র জানুয়ারিতে। কিন্তু লকডাউনে সব হিসাব বদলে যায়। জানা যায়, করিমুল হকের চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল প্রয়াত অভিনেতা, সুশান্ত সিং রাজপুতের। কিন্তু ওঁর মৃত্যুতে সেটা আর হয়ে উঠল না। ''সুশান্তের মৃত্যুতে খুব মুষড়ে পড়েছিলাম'', বলে জানান করিমুল হক। অবশেষে পরিচালক বিনয় মুদগালের ফোন পেয়ে বুধবার মুম্বই উড়ে যান করিমুল। ফের নতুন করে তার জীবন নিয়ে ছবি তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
করিমুল হকের চরিত্রে কে অভিনয় করবেন তা এখনও ঠিক হয়নি। শোনা যাচ্ছিল সোনু সুদ অভিনয় করতে পারেন। তবে করিমুল হকের উচ্চতার থেকে সোনু সুদের উচ্চতা বেশি হওয়ায় সেই ভাবনা বাতিল হয়ে যায়। পরিচালক বিনয় মুদগাল জানিয়েছেন, করিমুল হকের চরিত্রে অভিনেতা নির্বাচনে চমক থাকবে। সেক্ষেত্রে শাহরুখ খানের নামও শোনা যাচ্ছে। এটি একটি অনুপ্রেরনামুলক ছবি হতে চলেছে বলে আশ করিমুল হকের। তিনি জানান, তিনি চান তাঁর মত অনেক মানুষ সমাজে দৃষ্টান্তমুলক কাজ করুক। তাঁদের জীবন নিয়েও এমন ছবি হোক।
আরও পড়ুন-ভারতে নয়, ৩য় সন্তানের জন্ম দিতে কানাডা উড়ে গিয়েছেন করণ সিং ভোরার স্ত্রী টিজে
প্রসঙ্গত, একসময় নিজের অসুস্থ মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় অ্যাম্বুল্যান্স জোটেনি। বাঁচাতে পারেননি মাকে। অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে মায়ের মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি করিমুল হক। সেদিনই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, গাড়ির অভাবে গ্রামের আর কাউকে মরতে দেবেন না। সেই থেকে পথচলা শুরু।
নিজের মোটরসাইকেলকেই এরপর অ্যাম্বুল্যান্স বানিয়ে নেন করিমুল হক। চালকের আসনে বসেন তিনি নিজেই। সেই থেকে মালবাজারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লেই ডাক পড়ে করিমুলের। নতুন নাম হয় 'অ্যাম্বুল্যান্স দাদা'।