প্রয়াত ইরফান খানের মা, লকডাউনে ভিডিয়ো কলে মায়ের শেষকৃত্যের সাক্ষী হলেন অভিনেতা
লকডাউনের কারণে জয়পুরে যেতে পারলেন না ছেলে ইরফান খান।
নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রয়াত ইরফান খানের মা সইদা বেগম। শনিবার জয়পুরে নিজের বাড়িতে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে সইদা বেগমের বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তবে মায়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরও লকডাউনের কারণে জয়পুরে যেতে পারলেন না ছেলে ইরফান খান।
ANI-সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন ইরফান খান। জয়পুরের বেনীওয়াল কান্তা কৃষ্ণা কলোনিতে থাকতেন সইদা বেগম। মৃৃত্যুর পর শনিবারই শেষকৃত্য সম্পন্নও হয়ে গিয়েছে সইদা বেগমের। এবিষয়ে ইরফান খানের ভাই জানিয়েছেন, 'মা বেশকিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন, শনিবার তাঁর শারীরিক অবস্থায় অবনতি হয়। মা ভাইয়ের শারীরিক অবস্থা নিয়েও প্রশ্ন করছিলেন।'
আরও পড়ুন-অমিতাভ বচ্চনের 'জলসা'য় ঢুকে পড়ল বাদুড়, করোনা আতঙ্কে বিগ বি
আরও পড়ুন-ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দৈনিক রোজগেরে কলাকুশলীদের জন্য আর্থিক সাহায্য বরুণ ধাওয়ানের
এদিকে লকডাউনেক কারণে মায়ের শেষকৃত্যে থাকতে পারেননি ইরফান খান। তবে তিনি ভিডিয়ো কলে মায়ের শেষকৃত্যের সাক্ষী থেকেছেন বলে DNA সূত্রে খবর। তবে ইরফান খান নিজেও এখনও পুরোপুরি সুস্থ নয়। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর নিউরো এন্ড্রোক্রাইন টিউমার হয়েছিল তাঁর। যা পরে ক্যনসারে পরিণত হয়। আপাতত চিকিৎসার কারণে অনেকটাই তিনি সুস্থ, তবে এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন বলেই জানা যাচ্ছে। তবে ইরফান এই মুহূর্তে মুম্বইয়ে রয়েছেন, নাকি বিদেশে তা স্পষ্ট নয়। একটি সূত্র জানাচ্ছে তিনি মুম্বইয়ে রয়েছেন, আরও একটি তথ্য বলছে, তিনি শেষবার চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন, আর ফিরতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, রাজস্থানের টঙ্ক-এর নবাবী পরিবারের মেয়ে ছিলেন ইরফানের মা সইদা বেগম। তিনি নিজেও একজন কবি ছিলেন বলে জানাচ্ছেন ইরফানের ভাই সলমন। জয়পুর থেকে কিছুটা দূরে চুঙ্গী নাকায় সমাধিস্ত করা হয় সইদা বেগমকে।
আরও পড়ুন-ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ দিতে যাচ্ছিলেন, মেয়ে সুহানাই বাঁচিয়েছিল শাহরুখকে!