চেয়ারম্যান পদে গজেন্দ্র চৌহানের নিয়োগ নিয়ে উত্তাল এফটিআইআই, অর্নিদিষ্টকালীন ধর্মঘটের পথে পড়ুয়ারা
চেয়ারম্যান পদে টেলি সিরিয়াল মহাভারতের যুধিষ্ঠির খ্যাত অভিনেতা গজেন্দ্র চৌহানের নিয়োগ নিয়ে এখনও প্রতিবাদে উত্তাল এফটিআইআই। পড়ুয়ারা মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ''রাজনৈতিক'' ও এই মর্যাদাপূর্ণ এই ইন্সটিটিউটের পক্ষে অবমাননাকর বলে অভিযোগ করেছেন।
ওয়েব ডেস্ক: চেয়ারম্যান পদে টেলি সিরিয়াল মহাভারতের যুধিষ্ঠির খ্যাত অভিনেতা গজেন্দ্র চৌহানের নিয়োগ নিয়ে এখনও প্রতিবাদে উত্তাল এফটিআইআই। পড়ুয়ারা মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ''রাজনৈতিক'' ও এই মর্যাদাপূর্ণ এই ইন্সটিটিউটের পক্ষে অবমাননাকর বলে অভিযোগ করেছেন।
আজ নিয়ে টানা ৪দিন ধর্মঘট বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এফটিআইআই-এর পড়ুয়ারা। তাঁরা জানিয়েছেন এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনায় তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু পড়ুয়ারা জানিয়েছেন এফটিআইআই-এর গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের পদ থেকে গজেন্দ্র চৌহানের অপসরণ না হওয়া পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলবে।
এফটিআইআই-এর ছাত্র সমিতির প্রেসিডেন্ট হরিশঙ্কর নাচিমুথু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন''এফটিআইয়াই-এর ডিরেক্টর ডি নারাইনের মাধ্যমে আমাদের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অরুণ জেটলির কাছে আমরা চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু এখনও কোনও উত্তর পাইনি।''
''যতদিন না চৌহানকে সরানো হচ্ছে, আমাদের ধর্মঘট চলবে'' জানিয়েছেন ছাত্র প্রতিনিধিরা।
জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও এসআরএফটিআই ও চেন্নাই আইআইটি-র পড়ুয়ারা ইতিমধ্যেই এফটিআইআই-এর ধর্মঘটের প্রতি তাঁদের সমর্থন জানিয়েছেন।
ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গীর প্রতিফলন চৌহানের নিয়োগ। অভিযোগ ছাত্র-ছাত্রীদের।
ছাত্র-ছাত্রীরা জানিয়েছেন গজেন্দ্র চৌহানে কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য বলে তাঁরা এই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তা নয়। তাঁদের বক্তব্য, এর আগে বিজেপির সাংসদ বিনোদ খান্নার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ নিয়ে কোনও আপত্তিই করেননি তাঁরা। তাঁদের দাবি, এফটিআইআই-এর গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য যে দূরদৃষ্টি ও শৈল্পিক কর্মদক্ষতা-মননের প্রয়োজন তা মহাভারতের 'যুধিষ্টির'-এর নেই। পড়ুয়াদের সাফ কথা, চৌহান এই পদের উপযোগী নন।
হরিশঙ্কর জানিয়েছেন তাঁরা অরুণ জেটলির কাছ তাঁদের চিঠির সদর্থক জবাবই আশা করেছেন।
অন্যদিকে, যাঁকে নিয়ে এত বিতর্ক সেই গজেন্দ্র চৌহান পাল্টা অভিযোগ এনেছেন। তাঁর দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যই তাঁর নিয়োগ নিয়ে এত বিক্ষোভ হচ্ছে।
গজেন্দ্র জানিয়েছেন তাঁর যোগ্যতা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠছে সে বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি প্রস্তুত।
ইতিমধ্যেই, বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেছেন 'স্বরাজ অভিযান'-দলের নেতা যোগেন্দ্র যাদব। মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, এই সরকার স্বায়ত্তশাসনের অর্থ বোঝে না।
এফটিআইআই-এর এক ছাত্র প্রতিনিধি জানিয়েছেন তাঁদের এই প্রতিবাদ শুধুমাত্র গজেন্দ্র চৌহানের নিয়োগ নিয়ে নয়। একই সঙ্গে NFDC, CBFC, Children's film society সহ অনান্য স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলির শীর্ষেপদে নিয়োগ চলছে তা ভীষণই সমস্যাজনক। কেন্দ্র সরকার যে পন্থা নিয়েছেন তা প্রাতিষ্ঠানিক স্বায়ত্তশাসন এবং অখণ্ডতার পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।