'সহজকে নিয়েই সময় কাটছে, ছবি আঁকাটা আবার শুরু করেছি', বললেন প্রিয়াঙ্কা
আমাকেই সহজের সঙ্গে খেলতে হচ্ছে, গল্পের বই পড়ে শোনাতে হচ্ছে, এভাবেই কাটছে। বললেন প্রিয়াঙ্কা...
নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার দৌলতে Lockdown, Home Quarantine এই শব্দগুলোর সঙ্গে আমারা প্রত্যেকেই আজ পরিচিত। করোনার মতো বিশ্বমহামারীর প্রকোপ থেকে বাঁচতে গৃহবন্দি থাকা ছাড়া আর উপায়ই বা কী! বলি থেকে টলি সমস্ত ব্যস্ততম তারকাকেও আজ ঘরবন্দি থাকতে হচ্ছে। একই পরিস্থিতিতে দিন কাটছে টলি পাড়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকারের। Home Quarantine-এ কীভাবে সময় কাটাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা। সেই সমস্ত কথাই জানালেন Zee ২৪ ঘণ্টা ডট কম-কে।
প্রিয়াঙ্কা জানান, ''বাড়িতে রয়েছি। বাড়ির বাইরে বের হওয়ার তো এখন প্রশ্নই উঠছে না। মোবাইল নিয়েই অনেকটা সময় কাটছে। বিভিন্ন ওয়েব সিরিজ দেখছি, সিনেমা দেখছি। আর চেষ্টা করছি যেন নরম্যাল রুটিন মেনে চলার। বাড়িতেই কার্ডিও করে যতটা ফিট থাকা যায় চেষ্টা করছি। আর সহজ (ছেলে) তো রয়েছেই, ওকে সময় দিচ্ছি। সহজের তো স্কুল শুরু হয়ে গিয়েছে। ওর এখন যদিও ক্লাস ওয়ান। ৮ তারিখ থেকে ওর সেশন শুরুর কথা ছিল। সেটা তো হল না, তাই অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে ওর। প্রচুর হোমওয়ার্ক দিচ্ছে, সেগুলো ওকে করাতে হচ্ছে। ও তো এমনি পার্কে খেলতে যেত, একটু সাইকেল চালাতো, সেগুলো তো হচ্ছে না, তাই ওকে ব্যস্ত রাখতে হচ্ছে। আমাকেই সহজের সঙ্গে খেলতে হচ্ছে, গল্পের বই পড়ে শোনাতে হচ্ছে, এভাবেই কাটছে। তাছাড়া আমার দুটো পোষ্য শ্যাডো আর হোপ, ওদের সঙ্গেও কাটছে বেশকিছুটা সময়। ''
আরও পড়ুন-সিঙ্গাপুরেও লকডাউন, ৩৭ তলার ফ্ল্যাটে কীভাবে সময় কাটাচ্ছেন 'বন্দি' ঋতুপর্ণা?
আরও পড়ুন-হোম কোয়ারেন্টাইনে কীভাবে কাটছে 'রাণী রাসমণি' দিতিপ্রিয়ার?
প্রিয়াঙ্কা আরও জানান, ''আমার ছোটবেলার কিছু পছন্দের সিনেমা আমি আবারও দেখছি, সহজকেও দেখাচ্ছি। যেমন Charlie And The Chocolate Factory, Matilda, হীরক রাজার দেশে, এবং চার্লি চ্যাপলিন-এর কিছু সিনেমা। আবার এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে আমি আবারও ছবি আঁকছি। ছবি আঁকাটা নতুন করে অভ্যাসের মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। পোট্রেট আঁকাটা আমার পছন্দের। এছাড়া বাড়ির কাজ তো করতেই হচ্ছে এই সময়।''
প্রিয়াঙ্কার কথায়, ''চিন্তা হচ্ছে বাবা-মা-কে নিয়ে। বাবা-মা আর বোন বেহালার বাড়িতে রয়েছে। আমি থাকি কামালগাজির ফ্ল্যাটে। ওদেরকে এই পরিস্থিতিতে শিফট করিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। তবে বোন বাবা-মায়ের সঙ্গে আছে। বোন উচ্চ-মাধ্যমিক দিচ্ছিল, তো ওর দুটো পরীক্ষা বাকি রয়ে গিয়েছে। দেখা যাক, কী হয়...। এই লকডাউন উঠলে বাবা-মায়ের কাছে আগে যাবো। তবে এখন আপাতত ভিডিয়ো কলে কথা হচ্ছে। আর এমনি ফোন কল তো দিনে ৩-৪বার হচ্ছেই। ''