Durga Puja 2022 : 'পুজোর অনুষ্ঠানে গান গাইছি, ডিম ছুড়লেন শ্রোতারা'
মহালয়ার পর দেবীপক্ষের সূচনা হয়ে গিয়েছে। চারিদিকে কেমন পুজোর গন্ধ মঁ মঁ করছে। আর আমার, আপনাদের মতো বাঙালির কাছে পুজো নিয়ে জড়িয়ে থাকে হাজারো অভিজ্ঞতা, স্মৃতি। কখনও সেটা মজাদার, খুশির, কখনও আবার সেটা তিক্ত। পুজো নিয়ে Zee 24 ঘণ্টা ডিজিটালের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এমনই একটা তিক্ততা মেশা মজার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন গায়িকা উজ্জয়িনী মুখোপাধ্যায়। আর তাঁর সেই অভিজ্ঞতার সঙ্গেও মিলেমিশে রয়েছে গান।
Durga Puja 2022, Ujjaini Mukherjee, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মহালয়ার পর দেবীপক্ষের সূচনা হয়ে গিয়েছে। চারিদিকে কেমন পুজোর গন্ধ মঁ মঁ করছে। আর আমার, আপনাদের মতো বাঙালির কাছে পুজো নিয়ে জড়িয়ে থাকে হাজারো অভিজ্ঞতা, স্মৃতি। কখনও সেটা মজাদার, খুশির, কখনও আবার সেটা তিক্ত। পুজো নিয়ে Zee 24 ঘণ্টা ডিজিটালের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এমনই একটা তিক্ততা মেশা মজার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন গায়িকা উজ্জয়িনী মুখোপাধ্যায়। আর তাঁর সেই অভিজ্ঞতার সঙ্গেও মিলেমিশে রয়েছে গান।
উজ্জয়িনী মুখোপাধ্যায়ের কথায়, 'পুজো মানেই সবার কাছে স্পেশাল। তবে পুজো এলেই আমার মনে হয় অনুষ্ঠান করতে যাব, গান গাইতে যাব। একবার পুজোয় গান গাইতে গিয়ে আমার একটা মজার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। যেটা এখন আমার মনে পড়লেই ভীষণ হাসি পায়। যদিও সেসময় ভীষণই খারাপ লেগেছিল। সেটা আদপে একটা তীক্ত অভিজ্ঞতা। এখন সেটা মজার হয়ে গিয়েছে। পুজোর সময় আমি একবার দিল্লিতে গিয়েছিলাম অনুষ্ঠান করতে। সেখানে আমায় ডিম ছোঁড়া হয়েছিল। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম, শো বন্ধ করে দিয়েছিলাম। তবে এখন ভাবলেই হাসি পায়। যদি অভিজ্ঞতাটা খুব খারাপ, তবে আমি সেটা মজা হিসাবেই নিয়েছিলাম, নাহলে আরও বেশি কষ্ট পেতাম। এমন নানান অভিজ্ঞতা শিল্পীদের জীবনে থাকে।'
আরও পড়ুন- 'ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরে ছোটবেলার সেই দুর্গাপুজোর স্মৃতি এখনও টাটকা!'
উজ্জয়িনীর কথায়, 'ছোটবেলার পুজোটা এখনকার থেকে অনেকটাই আলাদা ছিল। তখন পুজো এলেই মনে হত নতুন জামা আসবে, পাড়ায় বের হব। পুজোয় বাইরে বের হলেই নাকে আসত রোল, চাউমিনের গন্ধ। যেটা সারাবছর নিষেধ, পুজোর সময় তাতে বাধা ছিল না। ঠাকুর দেখতে বের হলেই মনে হত আইসক্রিম খাব, আমি এবং মা দুজনেই আইসক্রিম ভালোবাসি। একবার ঠাকুর দেখে রোল কিনে আমি আর মা বাড়ি ফিরেছি। সবাই দেখলাম সেটা দিব্যি খেয়ে নিল। আমি খেতে গিয়ে দেখলাম কেরোসিন তেলের গন্ধে ভরা। অথচ সবাই কেমন সেটাই খেয়ে নিল, যদিও তাতে কারোর শরীর খারাপও হয়নি। আসলে পুজোর সময় সকলে এমন একটা বিষয় কাজ করে, তাতে কেরোসিন তেলের গন্ধে ভরা রোলও দারুণ লাগে।'