বিজেপির দুর্গ টলাতে ভোপালে কংগ্রেসের প্রার্থী হচ্ছেন করিনা?
এক্কেবারে বাস্তব জীবনেই এমনটা হওয়ার একটা সম্ভবনা তৈরি হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অভিনেত্রী করিনা কাপুর খানকে তো সবাই চেনেন। তবে এবার এই নামের আগে যদি 'কংগ্রেসনেত্রী' কথাটা বসে, অর্থাৎ কংগ্রেসনেত্রী করিনা কাপুর খান বলা হয় তাহলে কেমন হয়? না, নতুন কোনও সিনেমায় কংগ্রেসনেত্রীর চরিত্রে অভিনয় নয়।এক্কেবারে বাস্তব জীবনেই এমনটা হওয়ার একটা সম্ভবনা তৈরি হয়েছে।
হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। 'ইন্ডিয়া টুডে'-য় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে জানা যাচ্ছে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতৃত্ব চাইছে করিনা কাপুর খান ভোপাল থেকে কংগ্রেসের হয়ে ভোটে লড়াই করুন। জানা যাচ্ছে কংগ্রেস নেতা গুড্ডু চৌহান, আনিস খান ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁদের কথায় মধ্যপ্রদেশের ভোপালে বরাবরই বিজেপি জিতে আসছে। ১৯৮৪ সাল থেকে ভোপাল কেন্দ্রে টানা বিজেপি জিতে আসছে। বর্তমানে ভোপালে বিজেপি সাংসদ হলেন অলোক সঞ্জার। তাই কংগ্রেস নেতৃত্ব চাইছে ভোপালে বিজেপির দুর্গ ভাঙতে করিনা কংগ্রেসের টিকিটে লরুক।
আরও পড়ুন-বিয়ের পর নিজের বাড়ি ছেড়ে দীপিকার বাড়িতে থাকতে হচ্ছে, মুখ খুললেন রণবীর
আনিস খান ও গুড্ডু চৌহানের বক্তব্য ভোপালে করিনা কাপুরের অনেক ভক্ত রয়েছে। তাঁর আশা করিনাকে কংগ্রেসের টিকিটে লড়লে কংগ্রেসের পক্ষে ভালো হবে। তাঁদের কথায়, ঘটনাচক্রে করিনা মনসুর আলি খানের পুত্রবধু। সইফ আলি খান ও তাঁর বাবা মনসুর আলি খান পতৌদি দুজনেই ভোপালে জন্মেছেন। সইফ আলি খানের দাদু ভোপালের শাসক ছিলেন একসময়। তাই গোটা পতৌদি পরিবারেই ভোপালে একটা পরিচিতি রয়েছে। পাশপাশি করিনার জনপ্রিয়তাও ভোপালে অনেক বেশি। সবমিলিয়ে তাঁরা চাইছে করিনাই হোক ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী। প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করে বিজেপিকে হারিয়েছিলেন সইফের বাবা মনসুর আলি খান পতৌদি।
তবে এখনও পর্যন্ত এই প্রস্তাব করিনার কাছে পৌঁছেছে কিনা, আদৌ এতে তার সম্মতি রয়েছে কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি।
আরও পড়ুন-জন্মদিনের পার্টিতে তৈমুরকে ছাপিয়ে নজর কাড়ল সানি কন্যা নিশা