স্ক্রিনশট ফাঁস, হেনস্থার অভিযোগে বেকায়দায় চেতন ভগত
যে সময় সেই মহিলার সঙ্গে চেতন মাখোমাখো কথা বলতেন সেই সময় তিনি কিন্তু বিবাহিত।
নিজস্ব প্রতিনিধি : অজ্ঞাত পরিচয় এক মহিলার সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপে কথা হত তাঁর। কথায় কথায় থাকত ঘনিষ্ঠ হওয়ার ইঙ্গিত। তবে মহিলার তরফে উল্টোদিকের প্রস্তাবে সাড়া দেওয়ার ইঙ্গিত ছিল না। তার পরও বিখ্যাত লেখক চেতন ভগত প্রেম নিবেদনের চেষ্টা চালিয়ে যেতেন। যে সময় সেই মহিলার সঙ্গে চেতন মাখোমাখো কথা বলতেন সেই সময় তিনি কিন্তু বিবাহিত। আর কেউ বা কারা চেতন ভগত ও সেই মহিলার মধ্যে হোয়াটস অ্যাপে হওয়া কথোপকথনের স্কিনশট ফাঁস করে দিল। মহাসমস্যায় পড়লেন টু স্টেটস, হাফ গার্লফ্রেন্ড-এর লেখক।
আরও পড়ুন- নানা পাটেকর ও গণেশ আচার্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের তনুশ্রীর
চেতনের বিতর্কিত স্ক্রিনশট সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়ল দাবানলের মতো। এর পরই শুরু হয় তীব্র নিন্দা, আলোচনা। বেগতিক বুঝে নিজেই সামনে এসে পরিস্থিতির মোকাবিলা করলেন চেতন। রাখঢাকের চেষ্টা না করে সেই কথোপকথনের সত্যতা স্বীকার করে নিলেন। বললেন, ''ঘটনাটা কয়েক বছর আগেকার। তবে তখন আমি বিবাহিত। আমি প্রথমেই সেই মহিলার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আপনাদের যদি আমার বলা ওই কথাগুলো ভুল বলে মনে হয় তা হলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি সেই মহিলার সঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখা করি। একটা সময় পর আমরা ভাল বন্ধুও হয়ে যাই। আমি সব সময় ওর প্রতি টান অনুভব করতাম। কারণ ও একজন ভাল মনের মানুষ। হয়তো কিছুদিনের জন্য আমি দিকভ্রষ্ট হয়েছিলাম। আর সে জন্য আমি আমার স্ত্রী অনুষার কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছি।''
আরও পড়ুন- ''মিথ্যা মিথ্যাই থাকবে'', তনুশ্রীর হেনস্থা অভিযোগে প্রথম প্রতিক্রিয়া নানার
সেই স্ক্রিনশটে চেতন সেই মহিলার উদ্দেশে লিখেছেন, ''তুমি মিষ্টি ও ভাল মনের মানুষ। তাই আমি তোমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চাই। বলো, তুমি আমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা করবে? কিছু বলো।'' সেই মহিলা অবশ্য চেতনকে প্রশ্রয় দেননি। বরং উল্টে তিনি বলেন, ''আর পাঁচজন বিবাহিত পুরুষের মতো কেন কথা বলছ! তুমি আর পাঁচজনের থেকে আলাদা হতেই পারো। তুমি তো এরকম নয়।'' যদিও এর পরও চেতন প্রেম নিবেদনের চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু শেষমেশ সেই মহিলা চেতনকে নিজের অবস্থান বুঝিয়ে দেন। 'ঘনিষ্ঠ হতে চাই'- প্রসঙ্গে চেতনের সাফাই, ''এই নির্দিষ্ট কথাটা কোনও অন্য আলোচনা থেকেও আসতে পারে। আমার এই মুহূর্তে ঠিক মনে নেই। তবে এটুকু মনে আছে যে সে সময় আমার মহিলাদের নিয়ে একটা বই প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল। সেই বিষয়ে আলোচনা হতে হতে পরিস্থিতি অনুযায়ী আমি ওই কথাটা বলে থাকতে পারি। তবে আমাদের মধ্যে কোনও অশ্লীল ছবি আদান-প্রদান হত না। আরও একবার আমি আমার স্ত্রী ও ওই মহিলার কাছে ক্ষমা চাইছি।''