Amitabh Bachchan in Bike Ride: মুম্বইয়ের ব্যস্ত রাস্তায় বাইকে ফ্রেমবন্দি অমিতাভ বচ্চন, ব্যাপার কী?
Amitabh Bachchan: মুম্বইয়ের ট্রাফিকে আটকে অমিতাভ বচ্চন। দেরি হয়ে যাচ্ছে শ্যুটিংয়ে। অগত্যা রাস্তায় এক ফ্যানের সাহায্য নিলেন বিগ বি। চেপে বসলেন তাঁর বাইকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ফ্যানকে ধন্যবাদও জানান অমিতাভ।
Amitabh Bachchan, Amitabh Bachchan in Bike Ride, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সময়ের গুরুত্ব তাঁর কাছে অপরিসীম, তার প্রমাণ বারংবার দিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। ইভেন্ট হোক বা সিনেমার শ্যুটিং সর্বত্রই তিনি পৌঁছান যথা সময়ে। দেরি করে যাওয়া, একপ্রকার তার স্বভাববিরুদ্ধ। দেরি করা একেবারেই পছ্ন্দ করেন না বিগ বি। অন্যদিকে মুম্বইয়ে ট্রাফিকের কথা কম বেশি সকলেরই জানা। প্রায়শই অনেক তারকা থেকে সাধারণ মানুষ লেখেন যে কীভাবে তাঁরা অনেক সময়ই আটকে পড়েছেন মুম্বইয়ের ট্রাফিকে, কখনও কখনও ঘণ্টার পর ঘণ্টাও কেটে যায় ট্রাফিকে। এবার সেই জটিল ট্রাফিকে আটকেছেন স্বয়ং অমিতাভ।
ট্রাফিকে বেশ অনেকক্ষণই আটকে পড়েন বিগ বি। তিনি বুঝতেই পারেন যে শ্যুটিং লোকেশনে পৌঁছতে দেরি হয়ে যাবে তাঁর। এরপর আর দ্বিতীয়বার ভাবেননি তিনি। গাড়ি থেকে নেমেই সাহায্য নেন রাস্তায় তাঁর এক ফ্যানের কাছে। তাঁর বাইকের পিছনের সিটে চেপেই যথা সময়ে সেটে পৌঁছান অমিতাভ। সেই ছবি পোস্ট করেছেন স্বয়ং মেগাস্টারই। ছবিতে দেখা যাচ্ছে অমিতাভের পরনে কালো টিশার্ট ও কালো ট্রাউজার। টিশার্টের ওপর ব্রাউন রঙের ব্লেজার, চোখে চশমা। এবং তাঁর ফ্যানের পরনে হলুদ টিশার্ট ও থ্রি কোয়ার্টার জিন্স। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ছবি।
ছবিটি শেয়ার করে অমিতাভ বচ্চন লিখেছেন, ‘বাইক রাইডের জন্য ধন্যবাদ। তোমাকে জানি না। কিন্তু তুমি আমায় বাধিত করেছ, আমাকে যথা সময়ে দ্রুত লোকেশনে পৌঁছে দিয়েছ। অমীমাংসিত এই ট্রাফিক জ্যামকে এড়ানো অসম্ভব ছিল। ধন্যবাদ।’ তবে এর বাইরে মুম্বইয়ের ট্রাফিক নিয়ে তাঁর বিরক্তির কথা তুলে ধরেছেন অমিতাভ।
তিনি তাঁর ব্লগে লিখেছেন, ‘রবিবার অনুমতি দেওয়া হয় নির্দিষ্ট অঞ্চল যা আমাদের কাজে জন্য বন্ধ করা যেতে পারে... এবং এই কাজ এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা কাজের বাইরে বাইকে চড়ে এবং তাঁদের ড্রাইভিংয়ের জন্য উৎসাহের শেষ নেই’। তিনি আরও লেখেন, ‘কিন্তু এখন.. ..সতর্কতা এবং যত্ন এবং সর্বোপরি নিয়ন্ত্রিত জীবন.. .এগুলো বেঁচে থাকার অংশ। অনেক সময় ইচ্ছা থাকে গাড়ি চালিয়ে কাজে যেতে কিন্তু উপায় এবং পদ্ধতির জন্য ক্যারিয়ার ড্রাইভগুলি উদ্বেগের বিষয়। এগুলো নিয়ম ভাঙা। এটা সত্যিই অবাক লাগে ভেবে তারা কীভাবে এই ড্রাইভিং লাইসেন্সগুলি পেয়েছিল, যখন তাদের মৌলিক দক্ষতা নেই...কোন হেলমেট নেই, ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলার এবং সম্মান করার কোনও শৃঙ্খলা নেই। হতাশা ও রাগ হয়। প্রায়ই মনে হয় গাড়ি থেকে নেমে তাদের এই কথা বলতে ইচ্ছে হয়.. কিন্তু নিজেকে সংযত করে নিই।’