Aindrila Sharma: জোর করে বুনু ঐন্দ্রিলাকে চুমু, ঐশ্বর্যর পোস্টে মনখারাপ নেটপাড়ার
Aindrila Sharma: ঐন্দ্রিলার মা তাঁর মৃত্যুদিনেই জানিয়েছিলেন যে, সকলের ছোট হয়েও পুরো পরিবারের মেরুদন্ড ছিলেন ঐন্দ্রিলা। তাঁর দিদি ঐশ্বর্যও তাঁর উপর কতটা নির্ভর ছিলেন। বোনের চলে যাওয়ার পর তাঁর স্মৃতিতেই দিন কাটছে ঐশ্বর্যর।
Aindrila Sharma, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সব লড়াই একদিন শেষ হয়, সেরকমই গত ২০ নভেম্বর শেষ হয়েছে ঐন্দ্রিলার লড়াই। তবে তিনি হেরে যাননি, তাঁর সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছে তাঁর পরিবার, চিকিৎসক থেকে শুরু করে নেটপাড়া। কেটে গেছে ৪ দিন কিন্তু এখনও শোকে বিহ্বল পরিবার, কাছের মানুষ থেকে শুরু করে তাঁর অনুরাগীরা। ঐন্দ্রিলার মা তাঁর মৃত্যুদিনেই জানিয়েছিলেন যে, সকলের ছোট হয়েও পুরো পরিবারের মেরুদন্ড ছিলেন ঐন্দ্রিলা। তাঁর দিদি ঐশ্বর্যও তাঁর উপর কতটা নির্ভর ছিলেন। বোনের চলে যাওয়ার পর তাঁর স্মৃতিতেই দিন কাটছে ঐশ্বর্যর।
আরও পড়ুন- Richa Chadha: সেনা প্রসঙ্গে মন্তব্য! চরম বিতর্কের মুখে ক্ষমা চাইলেন রিচা চাড্ডা
মঙ্গলবার রাতে তাঁর আদরের বুনুকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট লিখেছিলেন ঐশ্বর্য। এবার শেয়ার করলেন একটি মিষ্টি ভিডিয়ো। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ছিল ঐন্দ্রিলার ২৪ তম জন্মদিন। পরিবারের সঙ্গে তাঁর কেক কাটার এক অদেখা ভিডিয়ো পোস্ট করেন ঐশ্বর্য। সেদিন ঐন্দ্রিলা পরেছিলেন হলুদ রঙের একটি কুর্তি। কেক কাটার পর কেকের ক্রিম দিদির গালে লাগিয়ে দিচ্ছেন ঐন্দ্রিলা আর দিদিও ক্রিম লেপে দিচ্ছে ঐন্দ্রিলার গালে তারপরেই তাঁর গালে এঁকে দিচ্ছেন চুমু। তবে ভিডিয়োতে ঐন্দ্রিলা বলছেন, গালে ক্রিম মাখানো একদমই পছন্দ নয় তাঁর। এরপরই তাঁকে জোর করে চুমু খান ঐশ্বর্য। দুই বোনের খুনসুটির এই ভিডিয়ো দেখে চোখে জল নেটপাড়ার। পাশাপাশি একটি ছবি পোস্ট করে ঐন্দ্রিলার দিদি লিখেছেন, ‘আমার চেনা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ। এত উদার, দয়ালু, নিষ্পাপ মনের মানুষ আর কেউ হতে পারে না। দিদিভাই লাভ ইউ সো মাচ বুনু’।
মঙ্গলবার রাতেও বোনকে খোলা চিঠি লিখেছিলেন ঐশ্বর্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘অনেকদিন তো হলো, এবার তাড়াতাড়ি চলে আয় বুনু। তুই ছাড়া আমি যে পঙ্গু। কে আমাকে সাজিয়ে দেবে বলতো? কে আমার ছবি তুলে দেবে? কে না বলা মনের কথা গুলো আমার মুখ দেখে বুঝে যাবে? কে আলাদিনের আশ্চর্য্য প্রদীপের মতো আমার সমস্ত মনের ইচ্ছে পূরণ করবে? কার সাথে আমি ঘুরতে যাব? কার সাথে পার্টি করব? কার সাথে আমি সারারাত জেগে সিনেমা দেখব, গল্প করব? কে আমাকে সঠিক পরামর্শ দেবে? আমাদের এখনো কত প্ল্যান্স বাকি আছে বলতো? কে আমাকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসবে? কে আমার জন্য পুরো পৃথিবীর সাথে লড়বে, আমাকে আগলে রাখবে? আমার যে তুই ছাড়া আর কোনো best friend নেই। তুই যে আমার জীবনীশক্তি। এই ২৪ বছরে আমি যে নিজে থেকে কিছুই করতে শিখিনি বুনু। আমি জানি তুই সাবলম্বী কিন্তু তোর দিদিভাই যে তোকে ছাড়া খুব অসহায়। তাড়াতাড়ি আমার কাছে চলে আই বুনু। অপেক্ষায় রইলাম।’