সলমনের জন্য মন কাঁদছে? তাহলে পড়ুন সল্লুর বডিগার্ডের জীবন কাহিনি
সলমনের জীবন থেকে পাঁচ বছর নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন খবরের পর আপনার মন কী কাঁদছে? খুব খারাপ লাগছে সল্লুর কারাবাসের কথা ভেবে? তাহলে শুনুন তাঁর কথা যাকে দিয়ে শুরু হয়েছিল সল্লুর এই জেলের কাহিনি। এই যে সলমন খানের আজ যে জেলের শাস্তি হল, তার শুরুটা হয়েছিল তাঁর একটা স্টেটমেন্ট থেকে। তাঁর নাম রবীন্দ্র পাটিল, সলমন খানের বডিগার্ড।
ওয়েব ডেস্ক: সলমনের জীবন থেকে পাঁচ বছর নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন খবরের পর আপনার মন কী কাঁদছে? খুব খারাপ লাগছে সল্লুর কারাবাসের কথা ভেবে? তাহলে শুনুন তাঁর কথা যাকে দিয়ে শুরু হয়েছিল সল্লুর এই জেলের কাহিনি। এই যে সলমন খানের আজ যে জেলের শাস্তি হল, তার শুরুটা হয়েছিল তাঁর একটা স্টেটমেন্ট থেকে। তাঁর নাম রবীন্দ্র পাটিল, সলমন খানের বডিগার্ড।
২০০২ সালে সলমনের সাদা রঙের টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার বান্দ্রার হিল রোডের আমেরিকান বেকারির সামনের রাস্তায় শুয়ে থাকা একজনকে পিষে দেওয়ার পর এই রবীন্দ্রই প্রথম পুলিসের সামনে মুখ খোলেন। রবীন্দ্রই পুলিসকে জানান, মদ্যপ অবস্থায় সলমনই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। সলমনকে তিনি নাকি সেই রাতে মদ খেয়ে গাড়ি চালাতে নিষেধ করেন। রবীন্দ্রের এমন স্টেটমেন্টের পর বিতর্কের ঝড় ওঠে। পুলিস জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সলমনকে ডেকে পাঠান।
২০০৬ সালে হিট অ্য়ান্ড রান কেসে রবীন্দ্রকে ডেকে পাঠায় আদালত। তাঁর পরিবার জানায়, রবীন্দ্রকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরপর পাঁচবার কোর্টের তলবে সাড়া না দেওয়ায় রবীন্দ্রর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। মহাবালেশ্বর থেকে ধরা হয় রবীন্দ্রকে। আর্থার রোড জেলে তাঁকে দাগি কয়েদিদের সঙ্গে রাখা হয়। কিন্তু তিনি কেন নিখোঁজ হয়েছিলেন, কেনই বা সাক্ষ্য দিতে চাইছিলেন না তা জানা যায়নি। শোনা যায় তাঁকে নাকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
পরে শোনা যায় রবীন্দ্র নাকি তাঁর বয়ান বদল করেন। বলেন সেই রাতে সলমন গাড়ি চালাননি। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর রবীন্দ্রকে ঘরে ঢুকতে দেয়নি তাঁর পরিবার। কেউ চাকরিও দেয়নি তাঁকে। হতাশায় ভুগতে শুরু করেন। ২০০৭ সালে সিওরির এক মিউনিসিপ্যাল হাসপাতালে টিবি রোগে আক্রান্ত হয়ে নি:শব্দে মারা যান রবীন্দ্র। কিন্তু অনেক অনেক প্রশ্ন রেখে যায় সেই মৃত্যু। সত্যি বলার জন্যই কি তাঁর জীবন বিসর্জন দিতে হল!