সমসময়ের সামাজিক অবক্ষয়ের চিত্র ধরা পড়েছে

এই সময়ে দাঁড়িয়ে, নানান প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও বুক চিতিয়ে লড়াই করে, যে সকল বাবা মায়েরা নিজেদের শেষটুকু সম্বল দিয়েও নিজেদের সন্তানদের মানুষ করেছেন-জীবনের শেষ সময়ে এসে তাঁদের কী দুর্বিসহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় তারই উজ্জ্বল উপস্থাপনা `ফোর আওয়ার্স`।

Updated By: Oct 16, 2012, 09:39 PM IST

এই সময়ে দাঁড়িয়ে, নানান প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও বুক চিতিয়ে লড়াই করে, যে সকল বাবা মায়েরা নিজেদের শেষটুকু সম্বল দিয়েও নিজেদের সন্তানদের মানুষ করেছেন-জীবনের শেষ সময়ে এসে তাঁদের কী দুর্বিসহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় তারই উজ্জ্বল উপস্থাপনা `ফোর আওয়ার্স`।
নাট্যকার- মৈনাক সেনগুপ্ত
নির্দেশনা- বিল্বদল চট্টোপাধ্যায়
সমসময়ের সামাজিক অবক্ষয়ের চিত্র ধরা পড়েছে সমগ্র নাটক জুড়ে। নির্দেশক বিল্বদল চট্টোপাধ্যায় নিজেই কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এক কথায় তিনি সত্যিই অনবদ্য। চরিত্রের দ্বিধা, দ্বন্দ্ব, হাসি, কান্না, দৃঢ়তা সহজাত ভঙ্গিমায় ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। ভাল কাজ করেছেন বড় ছেলে, মেয়ে, মেজো ছেলে, মেজো বউ- এর চরিত্রাভিনেতা বা অভিনেত্রীরা। কিন্তু ছোট ছেলে বড় বেশি উচ্চকিত অভিনয় করে ফেলেছেন। ফাঁক ধরা পড়েছে গল্পেও। নাটকের শুরুতে একজন অভিনেত্রীর না আসা নিয়ে চমক সৃষ্টি করা হয়। যদিও শেষ অবধি তার কারণ পরিষ্কার করা হয়নি।
গোটা নাটকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করিওগ্রাফি মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা পরিচালকের মুনশিয়ানার পরিচয় রাখে। একজন মানুষের মৃত্যুর ৪ ঘণ্টা বাদে ডাক্তার তাঁর মৃত্যুর কথা পরিবারের কাছে জানায়। মায়ের মৃত্যুর পর ৪ ঘণ্টায় কে কতটা আখের গুছিয়ে নিতে পারে, তা সরল ভাবে দেখান হয়েছে নাটকটিতে। বিষয় ভাবনা সরল হলেও, অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে বর্তমান পারিবারিক জীবনের বাস্তব কথাটাই যেন বলতে চেয়েছেন পরিচালক। কিন্তু মেজো ছেলে ও মেয়ের সাহচর্যে শেষ পর্যন্ত প্রতিবাদ জানায় বাবা। এককথায় `ফোর আওয়ার্স` নাটকটিতে বড় বেশি সমসাময়িক পারিবারিক জীবনের কথা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।

.