@ অ্যাসিসট্যান্টরাই এখন বস
এঁরা প্রত্যেকেই গুরুকূলে থেকে গুরুকে নীরবে সাহায্য করে গিয়েছেন বছরের পর বছর। বক্সঅফিসে সেইসব ছবি হিট, সুপার হিট, ব্লকবাস্টারের তকমা পেয়েছে। তাতে তাঁদের অবদানও কিছু কম ছিল না। শেষ পর্যন্ত গুরুর ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে নিজেদের প্রমাণ করলেন এঁরা। বলিউড এখন এঁদেরই। একঝাঁক নতুন পরিচালক দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বক্সঅফিস। ছবির বিষয়বস্তুতেই টের পাওয়া যাচ্ছে তাঁদের বিস্তৃতি।
এঁরা প্রত্যেকেই গুরুকূলে থেকে গুরুকে নীরবে সাহায্য করে গিয়েছেন বছরের পর বছর। বক্সঅফিসে সেইসব ছবি হিট, সুপার হিট, ব্লকবাস্টারের তকমা পেয়েছে। তাতে তাঁদের অবদানও কিছু কম ছিল না। শেষ পর্যন্ত গুরুর ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে নিজেদের প্রমাণ করলেন এঁরা। বলিউড এখন এঁদেরই। একঝাঁক নতুন পরিচালক দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বক্সঅফিস। ছবির বিষয়বস্তুতেই টের পাওয়া যাচ্ছে তাঁদের বিস্তৃতি।
অয়ন মুখার্জি, বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানে, মিলন লুথরিয়া, মোহিত সুরি, রাজকুমার গুপ্তা। বলিউডের নতুন প্রজন্মের ছবির স্বাদ দিয়েছেন এঁরাই। ২০১৩ গোটা বছরটাই দাপিয়ে বেড়াতে চলেছেন অয়ন, বিক্রমাদিত্য, মোহিতরা।
ছবি- ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি
পরিচালক- অয়ন মুখার্জি
২০০৪ সালে আশুতোষ গোয়ারেকরের স্বদেশ ছবিতে সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন অয়ন। এরপর কভি অলবিদা না কহেনা ছবিতে কাজ করেছিলেন করণ জোহরের সহকারী হিসেবে। ২০০৯ সালে মুক্তি পায় অয়নের পরিচালিত প্রথম ছবি ওয়েক আপ সিড। প্রথম ছবিতেই সেরা নবাগত পরিচালকের ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। এই বছর এখনও পর্যন্ত সবথেকে হিট ছবি ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানির পরিচালকও অয়ন।
ছবি- লুটেরা
পরিচালক- বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানে
সেই হম দিল দে চুকে সনম থেকেই সঞ্জয় লীলা বনশালির সহকারী বিক্রমাদিত্য। দেবদাস ছবিতেও কাজ করেছেন সহকারী হিসেবে। ২০০৩ সালে অনুরাগ কাশ্যপের পাঞ্চ ছবিতে গানের দৃশ্য পরিচালনা করেন। দীপা মেটার ওয়াটার ছবির কোরিওগ্রাফারও ছিলেন বিক্রমাদিত্য। ধন ধনা গোল ও দেব ডি ছবির চিত্রনাট্য লিখতেও অনুরাগকে সহযোগিতা করেছিলেন। ২০১০ সালে অনুরাগ কাশ্যপের প্রযোজনাতেই বানান প্রথম ছবি উড়ান। দর্শকদের প্রত্যাশার উড়ান মাটি থেকে আকাশে ওড়ে। এবছর মুক্তি পাওয়া ছবি লুটেরা। বছরের শেষে সেরা পরিচালকের পুরস্কারটা হয়ত যেতে চলেছে বিক্রমাদিত্যর ঝুলিতেই।
ছবি- আশিকি টু
পরিচালক- মোহিত সুরি
ভট ক্যাম্পের ফসল। কসুর, আওয়ারা পাগল দিওয়ানা, ফুটপাথ ছবিতে ছিলেন বিক্রম ভটের সহকারী। ২০০৫ সালে জহর ছবি দিয়ে পরিচালনায় আসেন। এরপর কলযুগ, উহ লমহে, আওয়ারাপন, ক্রুক, মার্ডর টু একের পর এক হিট ছবি দিয়ে প্রথম সারিতে উঠে এসেছেন মোহিত। এই বছরে মুক্তি পাওয়া আশিকি টু বক্সঅফিসে ১০০ কোটির ব্যবসা করার পাশাপাশি কুড়িয়েছে সমালোচকদের প্রশংসাও।
ছবি- ঘনচক্কর
পরিচালক- রাজ কুমার গুপ্তা
অনুরাগ কাশ্যপের ব্ল্যাক ফ্রাইডে ছবিতে সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন রাজ কুমার। নো স্মোকিংয়েও ছিলেন অনুরাগের সহকারী। পরিচালক হিসেবে প্রথম ছবি আমির বক্সঅফিসে সাফল্য না পেলেও সমালোচকদের বাহবা কুড়িয়েছিল। পরের ছবি নো ওয়ান কিলড জেসিকার সাফল্যের কথা সকলেরই জানা। এইবছর মুক্তি পাওয়া ঘনচক্কর বক্সঅফিসে সাফল্য না পেলেও রাজকুমারের ছবির ওপর আস্থা রাখেন দর্শকরা।
ছবি- ডি ডে
পরিচালক- নিখিল আডবানী
কুছ কুছ হোতা হ্যায়, কভি খুশি কভি গম ছবিতে করণ জোহরের সহকারী ছিলেন নিখিল। পরিচালক হিসেবে প্রথম ছবি কল হো না হো। এরপর সলাম-এ-ইশক, চাঁদনি চক টু চায়না, পাতিয়ালা হাউজ, দিল্লি সফারি। কিছুদিনের মধ্যেই মুক্তি পেতে চলেছে ডি-ডে। এরমধ্যেই সাড়া ফেলেছে ট্রেলর।
ছবি- ওয়ানস আপন টাইম ইন মুম্বই দোবারা
পরিচালক- মিলন লুথরিয়া
এককালে ছিলেন পরিচালক ধর্মেশ দর্শনের সহকারী। কাচ্চে ধাগে দিয়ে পরিচালনা শুরি করলেও সেভাবে হিট দিতে পারেননি মিলন। হিটের মুখ দেখেন ওয়ানস আপন আ টাইম ইন মুম্বই ছবিতে। এরপর দ্য ডার্টি পিকচারস। এবছর মুক্তি পেতে চলেছে ওয়ানস আপন আ টাইম ইন মুম্বই দোবারা। এরমধ্যেই মনে করা হচ্ছে এবছরের সেরা ছবির তালিকায় থাকবে ছবিটি।