অসহিষ্ণু সমাজের হাত থেকে মুক্তি পেতেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত ৬ বন্ধুর
কী কারণে আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিতে হল জামবনির ৬ কিশোরীকে? প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান বন্ধুত্ব বিচ্ছেদের আশঙ্কা থেকে একসঙ্গে মরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। কিন্তু কেন বিচ্ছেদের আশঙ্কা? কারণ খুঁজতে গিয়ে আবারও সামনে এল সমাজের চরম অসহিষ্ণুতার ছবি।
ওয়েব ডেস্ক: কী কারণে আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিতে হল জামবনির ৬ কিশোরীকে? প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান বন্ধুত্ব বিচ্ছেদের আশঙ্কা থেকে একসঙ্গে মরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। কিন্তু কেন বিচ্ছেদের আশঙ্কা? কারণ খুঁজতে গিয়ে আবারও সামনে এল সমাজের চরম অসহিষ্ণুতার ছবি।
জানা গিয়েছে এই ৬ বন্ধুর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নাকি ভাল চোখে দেখত না গ্রামবাসীরা। বাড়ি থেকে বিয়ে ঠিক হয়েছিল এক কিশোরীর। অপর একজনের বিয়ের কথাও চলছিল। আর সেই কারণেই তারা বিচ্ছেদের আশঙ্কায় ভুগছিল। কিশোরীদের পরিবারও বুঝতে চায়নি বিয়ের থেকে এই বন্ধুত্ব তাদের অনেক প্রিয়, অনেক কাছের। পরিবারের অসহিষ্ণুতা, সমাজের চোখ রাঙানি, সর্বোপরি বন্ধু বিচ্ছেদের যন্ত্রনা, সবকিছুর হাত থেকে মুক্তি পেতেই তারা এই চরম সিদ্ধান্ত নেয় বলে অনুমান।
সোমবার একসঙ্গে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে পশ্চিম মেদিনীপুরের জামবনির ওরো গ্রামের এই ৬ কিশোরী। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। একজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিত্সাধীন স্থানীয় এক হাসপাতালে। মৃত কিশোরীদের দেহ উদ্ধার হয়েছে গ্রামের একটি মাঠ থেকে। গ্রামবাসীদের কথায় বারবার উঠে এসেছে ৬ কিশোরীর 'অস্বাভাবিক ঘনিষ্ঠতা'র কথা। কিন্তু, প্রকৃত দায়ী কে? 'অস্বাভাবিক ঘনিষ্ঠতা'? নাকি সমাজের এক 'অস্বাভাবিক অসহিষ্ণুতা'?