নেই সে দিন, তবে এখনও বিষ্ণুপুরে দোল পালিত হয় মল্ল রাজাদের ঐতিহ্য মেনেই
রাজা নেই। নেই রাজত্বও। কিন্তু এককালের মল্ল-রাজধানী বিষ্ণুপুরে আজও দোল উত্সব পালিত হয় সেকালের প্রথা মেনেই। তাই আজও ব্যতিক্রমী বিষ্ণুপুরের দোল । গোটা রাজ্যে দোল উত্সবের একদিন পর বিষ্ণুপুর মাতোয়ারা হয় দোলের আনন্দে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর একসময় ছিল দোর্দন্ডপ্রতাপ মল্ল রাজাদের রাজধানী।
রাজা নেই। নেই রাজত্বও। কিন্তু এককালের মল্ল-রাজধানী বিষ্ণুপুরে আজও দোল উত্সব পালিত হয় সেকালের প্রথা মেনেই। তাই আজও ব্যতিক্রমী বিষ্ণুপুরের দোল । গোটা রাজ্যে দোল উত্সবের একদিন পর বিষ্ণুপুর মাতোয়ারা হয় দোলের আনন্দে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর একসময় ছিল দোর্দন্ডপ্রতাপ মল্ল রাজাদের রাজধানী। পরের দিকে বৈষ্ণব ধর্মের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে রাধা-কৃষ্ণের পুজো শুরু করেছিল মল্ল রাজপরিবার। এর সঙ্গেই বিষ্ণুপুরে জনপ্রিয়তা পায় কৃষ্ণরূপী মদনমোহনের আরাধনা। গড়ে ওঠে বিশাল মন্দির।
মদনমোহন মন্দির ঘিরেই কয়েক`শ বছর আগে বিষ্ণুপুরে শুরু হয় দোল উত্সব। তবে এখানকার দোল একটু আলাদা। দোলের দিন নয়, হোলির দিন আবীর খেলা হয় বিষ্ণুপুরে। জনশ্রুতি, রাজার নির্দেশেই একদিন পর এভাবে দোল খেলার প্রথা চালু হয়েছিল। এদিন মন্দির থেকে শোভাযাত্রা সহকারে শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে বিগ্রহ নিয়ে যাওয়া হয় রাজদরবারে। রাজার কোনও বংশধর বিগ্রহে আবির মাখিয়ে দেন। এরপরই শহরজুড়ে শুরু হয় আবির খেলা।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলায় এবছর মদনমোহনের শোভাযাত্রায় বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কাঁটছাঁট করতে হয় গতিপথ। কিন্তু এজন্য উত্সবের আনন্দ-উন্মাদনায় কোনও ভাটা পড়েনি।