শনিবার ভোটের আগে অব্যাহত অশান্তি
ব্যুরো: শনিবার ভোট। তার আগে জেলায় জেলায় অব্যাহত অশান্তি ও গোলমাল। কোথাও আক্রান্ত বিজেপি, কোথাও আক্রান্ত বাম কর্মীরা। সব ক্ষেত্রেই শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছে বিরোধীরা।শনিবার রাজ্যের একানব্বইটি পুরসভার ভোট। তার আগে জেলায়, জেলায় উঠছে সন্ত্রাস ও হামলার অভিযোগ তুললেছেন বিরোধীরা। এদিন বিভিন্ন জেলা থেকে পৌছেছে অশান্তির খবর।
বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে অশান্ত পুরুলিয়া। এগারো এবং ষোল নম্বর ওয়ার্ডের দুপক্ষের মারামারিতে জখম এক বিজেপি কর্মী। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিস।
সোনরপুর-রাজপুর পুরসভার বারো নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি কর্মীদের প্রচারে হামলা। আহত হয়েছেন এক বিজেপি কর্মী।
অভিযোগর তীর তৃণমূলের দিকে।
বাম-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত বারাসতের ষোল নম্বর ওয়ার্ড। শেষ বেলার প্রচার মুখোমুখি চলে আসে দু দলের মিছিল। শুরু হয় সংঘর্ষ। জখম হয়েছেন ফরোয়ার্ড ব্লকের পাঁচ কর্মী ।
বনগাঁর পাচ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি -তৃণমূল সংঘর্ষ। তৃণমূলের অভিযোগ, প্রচারে টাকা বিলি করছিলেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁরা বাধা দেন। তবে তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
ইংরেজবাজারে বিজেপির প্রচার সভায় হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হয় সভামঞ্চ। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, সভা থেকে টাকা বিলি করছিলেন বিজেপি প্রার্থী।
শিলিগুড়িতে আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী। বৃহস্পতি বার তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান রাহুল সিনহা। গত কাল বিজেপি প্রার্থী চৈতালি ব্যানার্জিকে মারধর করা হয়। অন্যদিকে তেত্রিশ নম্বর ওয়ার্ডে আক্রান্ত হয়েছেন সিপিআইএম কর্মীরা। এঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে সিপিআইএম।
গত শনিবার কলকাতার পুরভোটে সন্ত্রসের অভিযোগ তুলেছিল সব বিরোধী দল। সেই একই কি ছবি দেখা যাবে বাকি পুরসভার ভোটগুলিতে? আদৌ কি কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে প্রশাসন? সে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।