এমন একটা ধানের এখন বাজার গরম, দিচ্ছে বিদেশ পাড়ি
রায়গঞ্জ:
বরাবরই সুগন্ধী। তবু এতদিন তেমন কদর চোখে পড়েনি। অবশেষে নজর কাড়ল দিনাজপুরের তুলাইপাঞ্জি ধান। সুগন্ধী তুলাইপাঞ্জি চালের চাহিদা দেদার বাড়ছে বিদেশের বাজারে। আরও বেশি জমিতে তাই এই ধানের চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছেন দুই দিনাজপুরের চাষীরাও।
সুগন্ধী গোবিন্দভোগ চালের কথা কে না জানে! কিন্তু তুলাইপাঞ্জি চালের বৃত্তান্ত এতদিন সীমাবদ্ধ ছিল শুধু উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেই। ভাত ফুটলেই সুগন্ধে মাত গোটা এলাকা। ভাতের স্বাদটাও যেন আলাদা। তবু দেশীয় পদ্ধতিতে অল্প জমিতেই এতদিন তুলাইপাঞ্জি চাষ করতেন এলাকার চাষীরা। কারণ নিজেদের পরিবারের বাইরে এর বাজার বড় একটা ছিল না। কয়েকবছর হল সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে তুলাইপাঞ্জি চাষে গুরুত্ব বাড়ছে। বিদেশেও কদর বাড়ায় এখন চাষীরাও উত্সাহ পাচ্ছেন। দিনাজপুরে সুগন্ধী এই ধানচাষের এলাকা বাড়ছে দিনকে দিন।
দোঁয়াশ প্রকৃতির মাটি হওয়া চাই। তবেই ফলবে তুলাইপাঞ্জি। অন্যান্য ধানের তুলনায় উত্পাদনের হার কম। হেক্টরে বড়জোর দুটন। কিন্তু সাধারণ চালের তুলনায় তুলাইপাঞ্জির
দাম প্রায় আড়াই গুণ। বাড়তি লাভের আশায় তাই এখন তুলাইপাঞ্জির টানে মজছেন দিনাজপুরের আরও অনেক চাষী।
বিদেশের বাজার মজেছে আগেই। দিনাজপুরের সীমানা ছাড়িয়ে তুলাইপাঞ্জির কদর সারা বাংলায় কত দ্রুত ছড়ায়, এখন সেটাই দেখার।