বালুরঘাটে ৩২ বছরের দূর্গ হাতছাড়া বামেদের
পুরসভা নির্বাচনেও জয়ের ধারা অব্যাহত তৃণমূল কংগ্রেসের। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট পুরসভার ২৫টি আসনের মধ্যে ১৪টি ওয়ার্ডে জয়লাভ করে পুরসভার দখল নিল তৃণমূল। টানা ৩২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর বালুরঘাট পুরসভা হাতছাড়া হল বামেদের।
পুরসভা নির্বাচনেও জয়ের ধারা অব্যাহত তৃণমূল কংগ্রেসের। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট পুরসভার ২৫টি আসনের মধ্যে ১৪টি ওয়ার্ডে জয়লাভ করে পুরসভার দখল নিল তৃণমূল। টানা ৩২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর বালুরঘাট পুরসভা হাতছাড়া হল বামেদের।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট পুরসভা। টানা ৩২ বছর এই পুরসভা নিজেদের দখলে রেখেছিল আরএসপি। উন্নয়নের খতিয়ান নিয়েই এবার ভোটের প্রচারেও ঝাপিয়ে ছিল তাঁরা। কিন্তু ফল মেলেনি। এবার বালুরঘাট পুরসভার পঁচিশটি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র এগারোটিতে জয়লাভ করেছে বামেরা। যদিও এলাকার বাম নেতাদের মতে বেশকিছু ওয়ার্ডে খুবই কম মার্জিনে হেরেছেন বাম প্রার্থীরা। আরএসপির জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরীর অভিযোগ, পুলিসের মদতে ভোটে সন্ত্রাস চালিয়েছে তৃণমূল। যার পরিণাম এই ফল।
অন্যদিকে বালুরঘাট পুরসভার পঁচিশটি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূলের দখলে এসেছে চোদ্দোটি ওয়ার্ড। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই জয় থেকেই পরিষ্কার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের প্রচেষ্টাকেই সমর্থন করেছেন সাধারণ মানুষ। বালুরঘাট পুরসভার ভোটে দুজন প্রার্থীকে চেয়ারম্যান হিসেবে তুলে ধরে লড়াই চালিয়েছিল তৃণমূল। একজন বাইশ নম্বর ওয়ার্ডের সুখেন্দুনাথ চ্যাটার্জী। অন্যজন পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ভবেশ মণ্ডল। এই দুজনই অবশ্য ভোটে বাম প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হয়েছেন। তাই এবার বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান কে হবেন। সেই নিয়েই শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে জল্পনা।